ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ভিএআর বিতর্কের পর অ্যাতলেটিকোর জয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৪ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:১৭ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার

মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে গোলের দেখা মিলছিল না কিছুতেই। অবশেষে পার্থক্য গড়ে দিলেন হোসে মারিয়া হিমেনেস ও দিয়েগো গদিন। উরুগুয়ের এই দুই ডিফেন্ডারের গোলে জুভেন্টাসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে এগিয়ে গেল আতলেটিকো মাদ্রিদ।

বৃহস্পতিবার ভোরে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতেছে দিয়েগো সিমেওনের দল। ম্যাচটিতে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) নিয়ে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। এই প্রযুক্তির বিতর্ক নিয়েই জয় পেয়েছে লস কলকোনেরসরা।

প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমে ম্যাচের শুরুর দিকে চার মিনিটের ব্যবধান দুবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসের সামনে। নবম মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে রোনালদোর নেওয়া ফ্রি-কিকে শেষ মুহূর্তে এক হাত দিয়ে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে পাঠান গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক। দ্বিতীয়বার কর্নারে লিওনার্দো বোনুচ্চির হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।

ম্যাচের ২৯তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় স্প্যানিশ ক্লাব আতলেটিকো। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে অঁতোয়ান গ্রিজমানের ফ্রি-কিক কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান জুভেন্টাসের গোলরক্ষক। গোল শূন্য থেকেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে আতলেটিকোর এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয়। বল পায়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন দিয়েগো কস্তা। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়ে হতাশ করেন ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া স্পেনের এই স্ট্রাইকার। তিন মিনিট পর গ্রিজমানের দারুণ একটি লব ক্রসবারে বাধা পেলে ফের বেঁচে যায় অতিথিরা।

ম্যাচের ৭১তম মিনিটের গোল বাতিল হওয়ার ঘটনাই ছিল দিনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। জর্জিও কিয়েল্লিনিকে টপকে শেসনিকে পরাস্ত করে সাবে ক্লাবের জালে বল জড়ান তিনি। কিন্তু ভিএআরে রেফারি সিদ্ধান্ত পাল্টে দেন। প্রযুক্তির স্ক্রিনে কিয়েল্লিনির কাঁধে হালকা ভর দিয়ে উঁচুতে লাফিয়ে লক্ষ্যভেদী হেড করতে দেখা গেছে মোরাতাকে। ইতালিয়ান ডিফেন্ডারের মুখের অভিব্যক্তি দেখে রেফারি সিদ্ধান্ত নেন, বেশ ভালো ভর দিয়েছিলেন স্প্যানিশ ফুটবলার।

অবশেষে গোলের অপেক্ষা শেষ হয় ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে। কর্নারে মোরাতার হেড ঠেকিয়ে দেন মারিও মানজুকিচ কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি তিনি। আলগা বল জোরালো শটে ঠিকানায় পাঠান হিমেনেস।

এর পাঁচ মিনিট পর আরেকটি সেটপিস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। ডান দিক থেকে গ্রিজমানের নেওয়া ফ্রি-কিক ইতালিয়ান জায়ান্টরা বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে আলগা বল পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে শট নেন গদিন। বল রোনালদোর গায়ে লেগে জালে জড়ায়।

শেষ দিকে মূল্যবান একটি অ্যাওয়ে গোল আদায় করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু সতীর্থের গোলমুখে উঁচু করে বাড়ানো বলে ঠিকমতো মাথা ছোঁয়াতে পারেননি পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি জুভিরা।

হারের ধাক্কা কাটিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আশায় আগামী ১২ মার্চ ফিরতি পর্বে ঘরের মাঠে খেলতে নামবে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

সূত্র: লাইভস্কোর ডটকম

একে//