মায়ের লাশের জন্য অপেক্ষা করছে সন্তান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৫:৩৭ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার
মর্গের সামনে লাশ নেওয়ার জন্য স্বজনদের ভীড়। মেডিকেল কর্তৃপক্ষ খুব ধৈর্য্যের সঙ্গে লাশ বুঝিয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি নেওয়া হচ্ছে লাশগ্রহণকারীর সাক্ষর। লাশগ্রহণকারীদের একজন লিমন। কবি নজরুল কলেজে এনভায়রনমেন্ট জিওগ্রাফি পড়ছেন তিনি। গতরাতের অগ্নিকাণ্ডে যারা পুড়ে ছাই হয়ে গেছেন তাদের একজন তার মা।
সুখের সংসার লিমনদের। দুই বোন এক ভাই। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট ভাই ক্লাস নাইনে পড়ছে। গতকাল সন্ধ্যায় লিমনের মা আয়েশা খাতুন ওষুধ কিনতে গিয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন ডায়াবেটিক রোগী। লিমন কাঁদতে কাঁদতে জানান, যখন আয়েশা খাতুন ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে ফিরছিলেন তখন দেখেন সরি গলিতে শুধু আগুন আর আগুন। আগুন থেকে বাঁচতে আরও কয়েকজনের সঙ্গে আয়েশা খাতুন ওই ফার্মেসীতে আশ্রয় নেন। দোকানদার বাঁচার তাগিদে লাগিয়ে দেন দোকানের দরজা। কিন্তু ততোক্ষণে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ভেঙ্গে পড়েছে দোকানের ওপর।
বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে নন্দ কুমার দত্ত সড়কের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা আশপাশের ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে হেলিকপ্টারে করে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়।
অবশেষে ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ৮১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এসএইচ/