ইসমাইল হাজীর লাশ খুঁজছেন ভাগ্নে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৫৪ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:০৫ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার
মামাকে না পেলে মামার হাড্ডিটা অন্তত ফিরিয়ে দিন। আমরা মামাকে চাই। মামাকে না নিয়ে আমরা যাব না শোকে কাতর দুলাল ভুঁইয়া এভাবেই কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা মেডিকেলের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে।
ইসমাঈল হাজী`র গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর হলেও ছোট বেলায় চলে আসেন ঢাকায়। নিজে ব্যবসা করতেন। প্লাস্টিকের কারখানা ছিল। গত রাতে জামাতের সঙ্গে এশা`র নামাজ পড়ে বাসায় যান। খাওয়া দাওয়া সেরে বাইরে এসে চা খান।
ইসমাঈল হাজী`র ভাগ্নে দুলাল ভুঁইয়া বলেন, আমরা জানতে পারি যখন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হচ্ছিল তখন তিনি মসজিদের সামনে ছিলেন। হতে পারে বিস্ফোরণের শব্দে তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। পরে আর বের হতে পারেননি। কিন্তু তার লাশ তো পাব! ছাই তো পাব! কিন্তু আমরা কিছুই পাইনি।
দুলাল ভুঁইয়া কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি মামার হাড্ডিটা হলেও চাই। তা না নিয়ে আমি যাব না। ঢাকা মেডিকেলে কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহফুয একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, যাদের চেহারা খুব ভস্ম হয়ে গেছে তাদের শনাক্ত করতে কষ্ট হচ্ছে। ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পর তাদের শনাক্ত করা যাবে। তবে কবে নাগাদ ডিএনএ টেস্টের কাজ সম্পন্ন হবে তা বলতে পারেননি তিনি।
বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে নন্দ কুমার দত্ত সড়কের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা আশপাশের ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে হেলিকপ্টারে করে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়।
অবশেষে ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ৮১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
আআ/এসএইচ/