বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তাইফের অসাধারণ প্রতিভা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১৭ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শুক্রবার
মানুষ প্রতিভাবান প্রাণী। একেকজনের প্রতিভা একেক রকম। আবার কারো কারো মাঝে এমন প্রতিভা দেখা যায় যা সচরাচর অন্যকারো মাঝে দেখা যায় না। তেমনি এক বিস্ময়কর প্রতিভা তাইফ।
চুয়াডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের তাইফ আহমেদ- এর বয়স সতের বছর। তার বিস্ময়কর প্রতিভা শুধু তার গ্রামেই নয়; বরং জেলা ছাড়িয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কারণে দেশের অনেকেরও নজর কেড়েছে।
অন্য দশটা কিশোরের মতো তাইফ আহমেদ- এর আচরণ স্বাভাবিক নয়। কেউ ডাকলে সে উত্তর দেয় না। প্রায় সময় দেখা যায় মাটিতে সারাক্ষণ লেখালেখি করছে বা ছবি আঁকছে। কে এলো কে গেল সেটা নিয়ে সে খুব একটা মাথা ঘামায় না।
তাইফ কথাও ঠিক ভাবে বলে না। ইচ্ছা হলে কথা বলে, নয়তো চুপ থাকে। সরকারের কাছে তাইফ একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সেজন্য সে ভাতা পায়। তাইফের কোন প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা নেই। এরপরও তাইফ বিস্ময়কর প্রতিভা।
বাবা মায়ের তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় তাইফ। তার বাবা আশরাফ আলী ও মা আছমা বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাইফ আহমেদ- এর বয়স যখন পাঁচ তখন তার একটি ব্যতিক্রমী বিষয় সবার চোখে ধরা পড়তে থাকে। তা হলো তাইফ কে যে কোন বছরের তারিখ বললে সে ওই তারিখে কী বার ছিল তা তাৎক্ষণিক বলে দিতে পারে। গত ২০০ বছরের কখন কোন মাসে কত তারিখে কী বার ছিল তা তার নখদর্পণে। তাছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাজধানীর নাম তার মুখস্ত।
তাকে জিজ্ঞেশ করা হলো ১৯৮১ সালের ৩০ অক্টোবর কত তারিখ। তাইফের ঝটপট উত্তর, শুক্রবার। এ প্রতিবেদক তাকে জিজ্ঞেশ করল, ২০১৬ সালের জানুয়ারীর পাঁচ তারিখ কী বার ছিল। তাইফ তাৎক্ষণিক উত্তর দেয়, মঙ্গলবার।
তাইফের মা আছমা আহম্মেদ- এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়নি ছেলের। কিন্তু তার পরও বাড়ির আঙিনায় আপন মনে খড়কুটা দিয়ে অ, আ, ক, খ লিখতো তাইফ।
তাইফকে যদিও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বলা হয় তবে তা মানতে নারাজ তার বাবা আশরাফ আলীর। তিনি বলেন, তার এ প্রতিভা রাষ্ট্রীয়ভাবে কাজে লাগানো গেলে হয়তো দেশ উপকৃত হবে।
আআ//এসএইচ/