ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

মালয়েশিয়ায় দেড় মাসে ৭ হাজার প্রবাসী আটক

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:৫২ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৭:২২ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সোমবার

মালয়েশিয়া প্রশাসনের নয়া কৌশলে দেড় মাসে বাংলাদেশিসহ ৭ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। বিগত বছরগুলোতে শহর ভিত্তিক অভিযান পরিচালিত হলেও নতুন কৌশলে এগোচ্ছে অভিবাসন বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শহরাঞ্চলে অভিবাসন বিভাগের যৌথ অভিযানের কারণে অবৈধ অভিবাসীরা মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ছোট ছোট শহর ও গ্রাম অঞ্চলের লোকালয়ে কাজ করছে। আর এই সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন, পুলিশ, রেলা, সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছে অভিবাসন বিভাগ।

অভিবাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ১ হাজার ৯৯৯টি অভিযানে আটক করা হয় ৩০ হাজার ৭৭৮ জনকে। আটককৃতদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ৬ হাজার ৯৮৫ জন অবৈধ প্রবাসীকে।

এছাড়া ১৪২ জন মালিককে অবৈধ অভিবাসী রাখার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে তবে অভিযানে কত জন বাংলাদেশি গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানা যায়নি। মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রধান দাতো ইন্ডেরা খায়রুল দাজামী বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে, মালয়েশিয়ায় বৈধ হয়ে অন্যত্র কাজের জন্য গ্রেফতার হচ্ছে বৈধ বাংলাদেশিরাও। ভালো বেতনের আশায় অন্যত্র কাজের জন্য প্রতিনিয়তই গ্রেফতার হচ্ছে বাংলাদেশি প্রবাসীরা। দেশটির আইন অনুযায়ী যে মালিকের নামে ভিসা করা হয়েছে, সেই মালিকের কাজ করতে হবে, অন্যথায় তাদেরকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে। আর অন্য জায়গায় কাজ করা অবস্থায় ধরা পড়লে যেতে হবে জেলে।

বর্তমানে মালয়েশিয়ায় আউটসোর্সিং কোম্পানির অ্যাপ্রোভাল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এখনো হাজার হাজার বিদেশি প্রবাসী বিভিন্ন কোম্পানির নামে ভিসা করে অন্য কোম্পানিতে কাজ করছে।  আর অন্যত্র কাজ করলেই তারা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।

অন্যদিকে বৈধ হয়েও অবৈধ তালিকায় বাংলাদেশিদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি যাচ্ছে।  মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি ও মালয় এজেন্টদের প্রলোভনে অন্যত্র কাজ করার নিশ্চয়তায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা তাদের কোম্পানিতে ভিসা করছেন।  এ জন্য প্রতি বছর এজেন্টকে ১ থেকে ২ হাজার মালাই রিংগিত দিতে হয়।  কিন্তু বর্তমানে চলমান সাঁড়াশি অভিযানে বৈধ অবস্থায় গ্রেফতার হলেও ওই সব এজেন্টের আর খোঁজ মিলছে না।  বৈধ হয়েও জেলের গ্লানি টানছে বাংলাদেশিরা।

কেআই/এসএইচ