ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

নারী মূকাভিনেতাকে সম্মাননা দেবে প্লাটফর্ম মনোমাইম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৮ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

আগামী ১ ও ২ মার্চ চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে ‘বীরচট্টলা মূকাভিনয় উৎসব ২০১৯’। দুই দিন ব্যাপি এই আয়োজনে একক মূকাভিনয় প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশের দু’জন নারী মূকাভিনেতাকে সম্মাননা প্রদান করা হবে। যারা দুইজনই দীর্ঘ দিন যাবৎ নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও নিয়মিতভাবে তাদের মূকাভিনয় চর্চা করে আসছেন। তারা হলেন- চট্টগ্রামের অনাদিকল্পের সাদিয়া আফরীন এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশানের মৌসুমি মৌ।

সাদিয়া আফরীন চট্টগ্রামের মূকাভিনয় অঙ্গনে একটি পরিচিত নাম। ২০১০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথের রাজা ও রাজদ্রোহী নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে মঞ্চাভিনয়ের শুরু হলেও তিনি প্রথম মূকাভিনয় করেন ২০১১ সালে অনাদিকল্পের ‘তৃতীয় বিশ্ব’ মূকনাটকে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে রচিত এই মূকনাট্যে ‘ফেলানী’ চরিত্রে অভিনয় করেন। এরপর অনাদিকল্পের আরেকটি মূকনাটক ‘প্রকৃতি ও পুরুষের গল্প’-এর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন।
সম্মাননা প্রাপ্তি প্রসঙ্গে সাদিয়া বলেন, ‘২০১১ থেকে মূকাভিনয় শুরু করে এখন পর্যন্ত যে পরিশ্রম করেছি তার স্বীকৃতি কাজের মাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়ে বহুবার পেলেও এই সম্মাননা সেই স্বীকৃতিকে পূর্ণতা দিয়েছে। পাশাপাশি মূকাভিনয় নিয়ে কাজের আগ্রহ ও দায়বোধ বাড়িয়ে দিয়েছে।’

অপরদিকে, মৌসুমী মৌ প্রথম মূকাভিনয় প্রদর্শন করেন ২০১৪ সালে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সদস্য হিসেবে ‘বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ শিরোনামের একটি প্রযোজনায় মূকাভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর এ অঙ্গনে যাত্রা শুরু।
দেশে এবং দেশের বাইরে এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক মূকাভিনয় প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের অন্যতম প্রযোজনা ‘লাইট ভার্সেস ডার্কনেস’-এর মূল নারী চরিত্র হাওয়া’র ভূমিকায় অভিনয় করেন।

সম্মাননা প্রাপ্তি প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, ‘সম্মাননা প্রাপ্তির যে আনন্দ তা কখনোই শব্দচয়ন বা কথায় ব্যক্ত করা যায় না। মূকাভিনয় আমার প্যাশন আমার ভালোবাসা আমার স্বপ্নের জায়গা। আমি মনে করি মূকাভিনয়ে আমার যাত্রা কেবল শুরু। এখনও বহুদূও যেতে হবে। এই সম্মাননা প্রাপ্তি আমার দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিলো।’

এসএ/