চুল ঝড়ে পড়ার কারণ ও প্রতিকার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪৩ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৫০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বুধবার
চুলের আকার যেমনই হোক, ঘন চুলের চাহিদা কখনওই কমে না। ছেলের চুল হোক বা নারীর হোক সবক্ষেত্রেই লম্বা চুল প্রশংসার পাওয়ার যোগ্য। তাই চুলের ঘনত্ব কমে যাওয়াটা সকলের কাছেই সমস্যার।
প্রতি দিন যে পরিমাণ চুল ঝরে, জৈবিক নিয়মে তত পরিমাণ চুলই গজায়। কিন্তু এই অনুপাত সব সময় সমান থাকে না। চুল গজানোর চেয়ে ঝরে যাওয়ার পরিমাণ বেড়ে গেলেই বিপত্তি আসে।
ভারতের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ কৌশিক লাহিড়ীর মতে, ‘‘প্রতি দিন ৮০-১০০ টা চুল ঝরে। গজানোর কথাও ততগুলিই। কিন্তু মানুষের মাথার ত্বকের ধরন, আবহাওয়া, চুলের প্রকৃতি, যত্ন ও কোনও রকম অ্যালার্জি আছে কি না এ সবের উপর নির্ভর করে কার চুল কত বেশি বা কম ঝরবে। চুল গজানোর চেয়ে ঝরে যাওয়ার সংখ্যা বেশি হতেই এক সময় টাকের সমস্যা দেখা যায়।”
যত্ন, চুলের দেখভাল ছাড়াও যে সব কারণে চুল ঝরতে পারে, তা না জানলে অকালে টাক পড়াকে রোধ করাও যায় না। জানেন কি, কী কী কারণে চুলের এমন ক্ষতি হতে পারে?
অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিয়ে ফেলেন? ঠিক সময় খাওয়াদাওয়া বা ঘুম না হলে তার ছাপ পড়ে মনের স্বাস্থ্যের উপর। যে কোনও বিষয়ে খুব বেশি চিন্তা বা উদ্বেগও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য একেবারে ভালো নয়। চুলের রঞ্জক পদার্থ কমে গিয়ে চুল পেকে যাওয়া থেকে চুলের গোড়া পাতলা হয়ে যাওয়া— সবের নেপথ্যে এই মানসিক চাপ অন্যতম কারণ।
ভিটামিন বি-এর অভাব, ডায়েটে পরিমাণ মতো শাক-সব্জি ও ভিটামিন সি না থাকাও চুল ঝরে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাই ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি যোগ করুন। এতে চুলের স্বাস্থ্যোন্নতি ঘটবে।
মাথার ত্বকে কোনও অ্যালার্জি বা সংক্রমণ থাকলে আর অযত্ন করবেন না। অনেকেরই মাথার ত্বক থেকে মাছের আঁশের মতো খোসা ওঠে, অতিরিক্ত চুলকায়, ফুসকুড়ি দেখা যায়। এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শরীরে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া বাসা বাঁধলেও চুলের ক্ষতি হয়। তাই অ্যানিমিয়া সামলানোর ওষুধ শুরু করতে দেরি করবেন না। প্রয়োজনীয় পথ্য ও ওষুধ নিলে চুলের স্বাস্থ্যও ফিরবে ও অকালে টাক পড়া কমবে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার
এমএইচ/