ঢাকা, শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১

শার্শায় কালবৈশাখী ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:৫৮ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৮:২২ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বুধবার

যশোরের শার্শায় মৌসুমের আকস্মিক ঝড় বৃষ্টিতে আমের ফলনের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গত দু`দিনে শিলাবৃষ্টির কারণে অধিকাংশ আমের মুকুল ঝরে পড়ায় এলাকার আম চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

গত সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া থেমে থেমে বৃষ্টির সাথে শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি শুরুর পর থেকেই পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্ন ঘটেছে।

এদিকে শিলাবৃষ্টির কারণে উপজেলার শার্শা, বাগআঁচড়া, নাভারন, গোগা, কায়বা, উলাশিসহ বিভিন্ন এলাকায় আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়েছে গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে মুকুল। তবে আমের মুকুলের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা না গেলেও এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয় আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

তিনদিনের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আমের মুকুল ঝরে পড়ায় চরম লোকসান গুণতে হবে বলে জানালেন স্থানীয় আমচাষী বাবলুর রহমান।

তিনি জানান,আম গাছে মুকুল যে পরিমাণ এসেছিল, তাতে অন্যান্য বছরের লোকসান অনেকটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির কারণে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। গতবারের চেয়ে এবার আমের বাগানের সংখ্যা ছিলো আরও বেশি। বাগানে আমের মুকুল দেখে খুশিতে মন ভরে গিয়েছিল চাষীদের। মনে অনেক স্বপ্ন আর বুকভরা আশা জেগেছিল তাদের মনে। কিন্তু অসময়ের শিলাবৃষ্টিতে আমের মুকুল ঝরে গেছে সেই সাথে স্বপ্ন আর আশা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,গত মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল যা এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩৭০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শৌতম কুমার শীল জানান, শিলাবৃষ্টি ও হালকা ঝড়ো বাতাসে আমের মুকুলের পাশাপাশি এই এলাকার কুল,গম,ডাল, সরিষা, নাবিজাতের আলুর ক্ষতি হয়েছে। তবে এ বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য আশীর্বাদ। শিলাবৃষ্টির কারণে আমের মুকুল শতকরা ৩০ ভাগ নষ্ট হয়েছে।

কেআই/