বিদেশী ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এসব ইস্যু তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না
প্রকাশিত : ০৪:২১ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৪:২১ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৬ শনিবার
রানা প্লাজা ধস ও গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোঁরায় জঙ্গি হামলার পর দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি খাত গার্মেন্টস সেক্টরে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা ছিল সব মহলে। কিন্তু, ওই ঘটনার পর বিদেশী ক্রেতাদের অর্ডার বাতিল বা কমিয়ে দেয়ার মতো উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেনি। তৈরি পোশাকের গুণগত মান বজায় রাখা, সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করা ও প্রতিযোগিদের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রির সক্ষমতা অর্জন করায় বিদেশী ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এসব ইস্যু তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-গাজীপুর, ময়মনসিংহ সহ বিভিন্ন জেলায় ৪ হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানায় প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে কাজ করে ৫০ লাখের বেশি শ্রমিক। এ’সব শ্রমিকের কর্মদক্ষতা গার্মেন্টস সেক্টরে আমাদের প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার চেয়ে বেশি। তুলনামূলক পারিশ্রমিকও কম। বিভিন্ন দুর্ঘটনার পরও বিদেশী ক্রেতাদের আগ্রহের মূল কারণ এটি।
২০২১ সালে গার্মেন্টস খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আগামী ৫ বছরে আরো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন শিল্প মালিকরা।
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল ৩৫ বছর আগে। এখন এই শিল্পের হাল ধরছে নতুন প্রজন্ম। সম্ভাবনা যেমন বিপুল, তেমনি যাতায়াত ব্যবস্থা, গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দর ও স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সুবিধারও অভাব রয়েছে। এ’নিয়ে নতুন প্রজন্মের মনোভাব কী হবে, তা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা।
এই শিল্পের উন্নয়নে সরকারের বিশেষ মনোযোগ প্রত্যাশা করেন শিল্প মালিকরা।