ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মেঘনায় দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৭ পিএম, ১ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:২৪ পিএম, ১ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার

জাতীয় সম্পদ ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় আজ ১ মার্চ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই দুই মাস মেঘনা নদীতে কোনও প্রকার জাল ফেলা এবং যে কোনও ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। ‘মৎস্য অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন ও জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির’অংশ হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এবারের প্রতিপাদ্য ‘কোনও জাল ফেলবো না, জাটকা মাছ ধরবো না’।

চাঁদপুরের মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার নদীতে মার্চ-এপ্রিল এ দুই মাস ধরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মৎস্য মন্ত্রণালয়।

এর মধ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত নদী সীমানা হচ্ছে ৬০ কিলোমিটার। আইন অমান্য করে এ সময়ের মধ্যে কেউ জাটকা আহরণ করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবাও জাটকা রক্ষায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জেলা ট্রাক্সফোর্স নদীতে এবং স্থলভাগে কাজ করবে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী জানান, ‘জাটকা রক্ষা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এছাড়াও জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী, জেলে নেতাসহ চার উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সময়ে জেলেরা যাতে নদীতে মাছ শিকার করতে না পারেন সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুই মাসের অভিযানকালে কেউ নদীতে মাছ ধরলে বা জাল ফেললে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবছর ১৫টি স্পটে আমরা অস্থায়ী ক্যাম্প করবো। এর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর বড়স্টেশন, রনাগোয়াল, কাঁচিঘাটা, লগ্মির চর, লঙ্গিমারা, ঘাটনল, লালপুর, আনন্দ বাজার, দোকানঘর, বহরিয়া, হরিণা, ইশানবালাসহ আরও কয়েকটি জায়গা।’

তিনি আরও জানান, ‘চাঁদপুরে সর্বমোট ৫১ হাজার ১৯০ জন জেলে নদীতে মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করে থাকেন। অন্যান্য বছরের মতো এবারও সরকার জেলেদের মাঝে চার মাস চার কিস্তিতে ৪০ কেজি করে চাল সহায়তা দেবে। তবে এবছর অভিযান শুরুর আগ থেকেই চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।’

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযান শুরুর আগেই জেলেদের হাতে সরকারের জাটকা রক্ষার চাল সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও চাঁদপুর সদরের কোনও কোনও ইউনিয়নে এখনও বিতরণ শুরু হয়নি। উল্লেখ্য, মার্চ-এপ্রিল এই দুই মাস চাঁদপুরসহ দেশের ৭টি অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ আহরণ, পরিবহন, বিক্রি সম্পূর্ণ নিষেধ।


টিআর/