পুরনো সেই রেশমপথ 'সিল্ক রুট' আবারও সচল করতে চাইছে চীন
প্রকাশিত : ১০:১২ এএম, ৯ অক্টোবর ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ১০:১২ এএম, ৯ অক্টোবর ২০১৬ রবিবার
পুরনো সেই রেশমপথঃ সিল্ক রুট আবারও সচল করতে চাইছে চীন। একই সাথে প্রায় ষাটটি দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য যোগাযোগ স্থাপনে ‘এক বলয়, এক পথ’ পরিকল্পনায় তাদের আস্থা। এই রুট আবারো চালু হলে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে সময় কমবে, বাড়াবে মানুষে মানুষে যোগাযোগ এমনটাই দাবী তাদের। আঞ্চলিক উন্নয়ন সহযোগিতা উন্নয়নে তাদের এই পদক্ষেপে ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ন বাংলাদেশও। চীনা রাষ্ট্রদূতের আসছে সফরে আলোচনা হবে এই সিল্করুট নিয়েও।
খ্রিস্টপূর্ব ১১৪ শতকের দিকে প্রাচীন চীনের হান রাজবংশের শাসনের সময়ই চালু হয়েছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ঐতিহ্যবাহী এই সিল্ক রুট। পরে মঙ্গোলীয় সাম্রাজ্যে ভাঙনের কারণেই রেশমপথ ঘিরে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ঐক্য ভেঙে যেতে শুরু করে। সর্বশেষ ১৪৫৩ সালের দিকে অটোমান সাম্রাজ্য রেশমপথের কর্মকান্ড বন্ধ করে দেয়।
সেই পথটি আবারও অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায় চীন। চীনা প্রেসিডেন্ট গত --- ঘোষনা করেন এই মেগা প্রকল্প। একুশ শতকের এই সিল্ক রুট ইকোনমিক বেল্ট চীন থেকে মধ্য এশিয়া হয়ে মধ্য ইউরোপ পর্যন্ত সংযোগ ঘটাবে। একইমসাথে সাগরপথে চীনের উপকূল থেকে দক্ষিণ চীন সাগর, মালাক্কা হয়ে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করবে বলে জানায় চীনা বিশেষজ্ঞরা।
রুটটির মাধ্যমে চীনের সঙ্গে সংযুক্ত হবে ৬৫টি দেশ যার লোকসংখ্যা প্রায় ৪৬০ কোটি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ। এ দেশগুলোর মোট জিডিপি ২০ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রকল্পের মাধ্যমে ওই অঞ্চলগুলোতে বন্দর, সড়ক, রেলপথ, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেল-গ্যাস পাইপলাইন সংযোগ, মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলসহ তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ ও আর্থিক অবকাঠামো নির্মাণ বিশেষ গুরুত্ব পাবে; সুবিধাগুলো বাংলাদেশেও মিলবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
এরই মাঝে চীন-পাকিসÍান অর্থনৈতিক করিডর এবং বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডরও গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আসছে ১০ বছরে চীনা সরকার সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জন্য এক লাখ কোটি ডলার অর্থ ছাড় করবে। গড়ে তোলা হয়েছে, ‘নিউ সিল্ক রুট ফান্ড এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে বলেও আশাবাদী অনেকে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্তির বছর ২০৪৯ সালে ‘এক বলয়, এক পথ’-এর জয়জয়কার দেখতে চায় বেইজিং আর তাই এই তোরজোর বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।