ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

পাকিস্তানে জঙ্গি-বিরোধী ব্যাপক ধরপাকড়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৯ এএম, ৬ মার্চ ২০১৯ বুধবার

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আফ্রিদি

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আফ্রিদি

জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা মাসুদ আজহারের ভাই মুফতি আব্দুল রউফ এবং তার ছেলে হামাদ আজহারসহ ৪৪ জনকে আটক করেছে পাকিস্তান সরকার।আগাম সতর্কতা হিসেবে তদন্তের স্বার্থে মুফতি রউফকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানায় তারা।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার খান আফ্রিদি বলেছেন, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গ্রেফতারি অভিযান চলছে। তারই অংশ হিসেবে জইশ-এর এই নেতাদের আটক করা হয়েছে।

পাকিস্তান-ভিত্তিক জইশ-ই মোহাম্মদ সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। ঐ হামলায় অন্তত ৪০ জন আধাসামরিক সৈন্য প্রাণ হারায়। এই হামলার জের ধরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার পর ভারত সরকার হামলাকারীদের পরিচয় দিয়ে যে দলিল পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করেছে, তাতে আটক হওয়া কিছু লোকের নাম রয়েছে বলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র সচিব সুলেমান খান গণমাধ্যমকে জানান, ‘যদি এদের জড়িতে থাকার বিষয়ে কিছু প্রমাণও মেলে, তাহলে এদের বিচার করা হবে।’

তবে মওলানা মাসুদ আজহারকে এখনও আটক করা হয়নি। পাকিস্তানি পুলিশ জানিয়েছে অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

পাকিস্তানি সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের আলোকে আগামী দিনগুলিতেও এই আটক অভিযান চলবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহল থেকে যে চাপের মুখে পড়েছে, তার জন্যই জঙ্গি দলগুলোর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।

একদিন আগে পাকিস্তানের সরকার জাতিসংঘের রূপরেখা অনুযায়ী জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রক্রিয়া শুরু করে। এর মধ্য দিয়ে সরকার জঙ্গি সংগঠন এবং তার নেতাদের হাতে থাকা সম্পদসহ অন্য সবকিছুর দখল নেয়।

পাশাপাশি, জঙ্গি অর্থায়ন-বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা এফএটিএফ-এর বেঁধে দেয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে জঙ্গি দমনে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ না নিতে পারলে পাকিস্তানকে কালো তালিকার মুখোমুখি হতে হতো। এটা ঘটলে উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য পাকিস্তান কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিতে পারতো না।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

এমএইচ/