ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

৩৫ বছরেও চাকরি স্থায়ী হয়নি জাবির ডাইনিং কর্মচারিদের

জাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৭:৪৮ পিএম, ৬ মার্চ ২০১৯ বুধবার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ে ডাইনিং কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং হল কর্মচারী সমিতি। রোববার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়ে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল শেষে দুই দফা দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে স্মারকলিপি দিতে যান অস্থায়ী ডাইনিং হল কর্মচারী সমিতির সদস্যরা। দাবি দুটি হলো- ডাইনিং কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও হলের ডাইনিংয়ের খাবারের মান বাড়াতে ভর্তুকি প্রদান।

স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে একই পদে চাকরি করছি কিন্তু এখনও আমাদের স্থায়ী কর্মচারী হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। ডাইনিং ভর্তুকি কম থাকায় খাবারের মান খারাপ হয় ফলে শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বাইরের দোকানে খেতে বাধ্য হন। দিন দিন ডাইনিং হলগুলো অচল হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে একই দাবিতে বিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনকারীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি বলেন, আমরা চাকরিতে প্রবেশ করি মাত্র চার হাজার টাকায়। আর চাকুরির বছর ৩০ হলে তারপর ৮ হাজার ৪’শ আশি টাকা বেতন হয়। অবার অনেকেই ২শ আশি টাকায় চাকুরি শুরু করেছে। ২৭ বছর চাকুরির বয়স হলেও এখন তারা মাত্র ৪ হাজার টাকা বেতন পায়। এই বেতনে সংসার চালানো অসম্ভব দাবি করে দ্রুত তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করে দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার অস্থায়ী ডাইনিং কর্মচারী রোকেয়া বেগম (৬৫) বলেন, আমার এই দুই হাত দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার প্রথম তালা খুলেছি। চাকরির ৩৫ বছর পার করলেও আজো আমার চাকুরি স্থায়ী হয়নি। স্যারেরা আমায় আশ্বাস দিয়ে রেখেছে। কিন্তু কিছুই করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, আমরা মরার আগে আমাদের চাকুরির স্থায়ীত্ব দেখে যেতে চাই। আমরা আমাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য চাই। আমরা যে বেতন পাই তাতে আমাদের সংসার চলে না।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অস্থায়ী ডাইনি হল কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, তাদের স্থায়ী করার কোন সুযোগ নেই। তবে অনেক আগের একটা সিদ্ধান্ত আছে যে, বিভিন্ন হলে স্থায়ী লোক নিয়োগ করার ক্ষেত্রে তাদের বয়সের বিষয়ে শিথিল করে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। স্মারকলিপি আমার হাতে আসার পর বাকি মন্তব্য জানাতে পারবো।

কেআই/