মাভাবিপ্রবিতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণ দিবস পালিত
মাভাবিপ্রবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৬:৩১ পিএম, ৭ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য ও পুস্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, ভাসানী পরিষদ এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।
পুস্পস্তবক অর্পণের পর বঙ্গবন্ধু ও যারা স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে জীবনকে উৎসর্গ করেছেন তাদের স্মরণে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবনকে উৎসর্গ করে শহীদ হয়েছেন তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আলোচনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের আজকের এ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠতম ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। শোষিত- বঞ্চিত মানুষের মনের অব্যক্ত কথা যেন তাঁর বজ্র কন্ঠে বের হয়ে আসে, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি উচ্চারণে, প্রতিটি শব্দে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি উচ্চারণ ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হতে থাকে লাখো প্রাণে। গগন বিদারী আওয়াজ তুলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে সমর্থন জানায় উপস্থিত জনতা। তিনি আজ সেই ঐতিহাসিক দিনের কথা স্মরণ করে সবাইকে উজ্জ্বীত হওয়ার আহ্বান জানান।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রভোস্ট, প্রক্টর, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা হয়।
এসএইচ/