ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

পূর্বাচলে নাম-পরিচয়হীন প্রতিষ্ঠানকে প্লট বরাদ্দ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:২১ পিএম, ৯ মার্চ ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৮:১৯ পিএম, ৯ মার্চ ২০১৯ শনিবার

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউক হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই পূর্বাচলে ৮৪টি প্রাতিষ্ঠানিক প্লট বরাদ্দ দিয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ উজাড়, ভূমির অদি অবস্থা পরিবর্তন করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে রাজউক কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে। এছাড়া উত্তরার তৃতীয় ফ্ল্যাট প্রকল্প নিয়েও রয়েছে অসন্তোষ। তবে সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী।

দর্শক, এ’নিয়ে বিস্তারিত থাকছে রাত দশটায় একুশের চোখ অনুষ্ঠানে; দেখার আমন্ত্রণ রইলো।

পূর্বাচলের নকশায় এ পর্যন্ত পাঁচবার কাটাছেঁড়া হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া বন, পার্ক, খেলার মাঠ, পার্ক, উন্মুক্ত স্থান, খাল, জলাশয়, সবুজ বেষ্টনীসহ পরিবেশগত স্থানে কোনো ধরনের পরিবর্তন না করার নির্দেশনা ছিলো। রাস্তা, কাটভার্ট নির্মানসহ উন্নয়ন কাজে নি¤œ মানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ভেঙে  যাচ্ছে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশ না মেনে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করে ৮৪টি নতুন প্লট তৈরি করেছে রাজউক। দেড় থেকে ১০ বিঘা আয়তনের এসব প্রাতিষ্ঠানিক প্লট এরইমধ্যে গোপনে বরাদ্দও হয়েছে। রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ও পূর্বচলের পিডি উজ্জল কুমার মিলে প্রায় একক সিদ্ধান্তে নাম পরিচয়হীন কিছু প্রতিষ্ঠানের নামে এসব প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।

কয়েক ধাপে প্রায় দুশ বহুতল ভবন নির্মানের পরিকল্পনা থাকলেও বতর্মানে প্রায় ৯০ একর জায়গায় ৮০টি ভবন দৃশ্যমান। বাইরে থেকে বেশ চকচকেই মনে হয় ভবনগুলোকে। সুন্দর পরিবেশে তৈরী এসব ভবনের নির্মাণ কাজের মান নিয়ে প্রশ্নও আছে।

জলাশয় ভরাট, বন উজাড় করা, মানুষের হাজার হাজার বিঘা সম্পত্তি দখল করে পরিবেশ বিনষ্ট করায় পরিবেশবিদরা রাজউককেই সবচে বড় ভূমিদস্যু হিসেবে অখ্যায়িত করেছেন।

প্রভাব খাটিয়ে প্লট বরাদ্দ, অনিয়ম, নানা অসংগতির বিষয়ে কথা বলতে অন্তত তিন দিন রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রাহমানের কাছে গেলে তিনি ক্যামেরায় বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

তবে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী এডভোকেট স. ম. রেজাউল করিম বলেন, যেসব অভিযোগ আছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে।

অনিয়ম দুর সরিয়ে রাজউক আধুনিক ঢাকা গড়তে ভূমিকা রাখবে এ প্রত্যাশা সবার।