২১১ রানেই গুটিয়ে গেলো বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৯ এএম, ১০ মার্চ ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১০:৩১ এএম, ১০ মার্চ ২০১৯ রবিবার
দুই দিন টানা বৃষ্টি। তৃতীয় দিনে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যাণ্ড ক্রিকেট টিম। শুরু হয়েছে ব্যাট-বলের লড়াই। আজ আধ ঘণ্টা আগে শুরু হয় খেলা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দারুণ শুরু করেন তামিম-সাদমান। চোখধাঁধানো ড্রাইভ, কাট-পুলের পসরা সাজান তামিম। তাকে যথার্থ সঙ্গ দেন সাদমান। তাতেই শুভসূচনা পায় টাইগাররা। তবে হঠাৎই খেই হারান সাদমান। ব্যক্তিগত ২৭ রানে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের শিকার হন তিনি।
সাদমানের বিদায়ে ভেঙে যায় ৭৫ রানের ওপেনিং জুটি। এ নিয়ে তামিমের সঙ্গে টানা তিন ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়লেন তিনি। পরে মুমিনুল হককে নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করেন তামিম। দারুণ সঙ্গও পাচ্ছিলেন। তবে শর্ট বলে শট খেলার লোভ সামলাতে পারেননি মুমিনুল। ওয়েগনারের শর্ট বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টা করতে গিয়ে বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দিয়ে অসেন তিনি। টেস্ট স্পেশালিস্টের উইলো থেকে এসেছে মাত্র ১৫ রান। এতে ভাঙে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ। এরপরই পথ হারায় বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা।
এর রেশ না কাটতেই অফস্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আসেন মোহাম্মদ মিঠুন। টপঅর্ডারদের সাজঘরের রাস্তা ধরার মাঝেও আশার আলো হয়ে ছিলেন তামিম। বুক চিতিয়ে লড়ছিলেন তিনি। এবার হার মানেন তিনিও। ওয়েগনারের বলে টিম সাউদিকে ক্যাচ তুলে দেন ড্যাশিং ওপেনার। ফেরার আগে ১০ চারে ১০৯ বলে করেন বীরোচিত ৭২ রান। এ নিয়ে টানা তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেললেন দেশসেরা ওপেনার। রয়েছে একটি নান্দনিক সেঞ্চুরি।
মাঝপথে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি গেল টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকার। ম্যাট হেনরি বলে সেই ওয়াটলিংয়ের গ্লাভসে বল জমা দেন তিনি। সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে লড়তে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনিও শর্ট বলের শিকার। শিকারী সেই ওয়েগনার।
এরপর একই লান ধরেন অন্যরা।
মাত্র ২১১ রানে সবগুলো উইকেট হারিয়ে দুর্বল একটি স্কোর করেন তারা।
এসএ/