ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

ডাকসুর ভোট দেবেন যেভাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১০:৫৬ এএম, ১১ মার্চ ২০১৯ সোমবার

২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন। আগামী সোমবার এর ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কীভাবে হবে? ভোটারদের অনেকে জানেনই না কীভাবে ভোট দিতে হয়! এ নিয়ে ভোটারদের পাশাপাশি সবারই কেমবেশি কৌতুহল আছে।

সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার মতো ডাকসু নির্বাচনও হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। প্রতিটি ভোটার দুটি ব্যালট পেপার পাবেন। একটি ডাকসুর অপরটি হল সংসদের জন্য। ডাকসুর ব্যালটে ২৫টি পদের বিপরীতে ২৫টি ক্যাটাগরিতে প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর ও নাম থাকবে।

হল সংসদের ব্যালটে ১৩টি পদের বিপরীতে ১৩টি ক্যাটাগরিতে প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর ও নাম থাকবে। পছন্দের নামের পাশে খালি চতুর্কোণ ঘরে ক্রস চিহ্ন এঁকে দেবেন ভোটার। দুইটি ব্যালট মিলে মোট ৩৮টি পদে ভোট দিতে হবে, তথা ৩৮জন প্রার্থীর নামের পাশে ক্রস চিহ্ন দিতে হবে। ভোট দেয়ার পর ব্যালট পেপারটি ভাঁজ করে বাক্সে রেখে দিলেই ভোট প্রক্রিয়া শেষ।

ডাকসু নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এটিএম শামসুজ্জোহা এ পদ্ধতি জানিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক ব্যালটে পদ অনুযায়ী তালিকা থাকবে। সেখানে সকল প্রার্থীর ব্যালট নম্বর ও নাম উল্লেখ করা থাকবে। ভোট দিতে হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। প্রত্যেক প্রার্থীর নামের সামনে একটি চারকোণা ঘর থাকবে। ভোটার যাকে ভোট দিতে চান তার সামনের ঘরে ক্রস চিহ্ন দিতে হবে। এরপর ব্যালট পেপারটি ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে রেখে দিলেই ভোট দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

ভোটের গোপনীয়তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বুথের একটি নিরাপদ অঞ্চল পর্যন্ত সবাই যেতে পারবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত সাংবাদিকদের প্রবেশের জন্য আরেকটি সীমানা থাকবে। তবে ভোট দেয়ার জায়গায় কেউ থাকবেন না। ভোটার মত প্রকাশের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন।’

প্রসঙ্গত, ১১ মার্চ সকাল ৮টা থেকে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে, চলবে টানা দুপুর ২টা পর্যন্ত। তবে এরপরও কেন্দ্রে ভোটার থাকলে অবশ্যই ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এসএম মাহফুজুর রহমান।

এবারে ডাকসু ও হল সংসদে মোট ৬ লাখ ২৫৬ জন ভোটার। এতে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র মৈত্রী, বামজোট, ছাত্র সমাজ, কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ নানা প্ল্যাটফর্মের ২২৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তারমধ্যে ভিপি পদে ২১ ও জিএস পদে ১৪ জন রয়েছেন।

 

টিআর/