ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পুটখালি সীমান্তে দুই তরুণী ধর্ষণের শিকার

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৫৩ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৯ রবিবার

যশোরের বেনাপোল সীমান্তে দুই তরুণীকে আটকে ধর্ষণের অভিযোগে ছয় ধর্ষককে আটক করেছে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ।

রোববার সন্ধ্যার দিকে পুটখালী সীমান্ত এলাকা থেকে এলাকাবাসী সহযোগিতায় পুলিশ তাদের আটক করেছে। উদ্ধার হয়েছে দুই তরুণী। এদের একজনের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায় অপরজনের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়।

আটক ধর্ষকরা হলো, বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের আলমের ছেলে সোহেল (৩০),আজগারের ছেলে আরিফ (২৯), আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল্লা (২৭), মোর্শেদের ছেলে শিমুল (৩৫), আয়ুব বিশ্বাসের ছেলে প্লাবন (২৮), সামছুর কসাইয়ের ছেলে মোরশেদ (৩৫)। রাফিউলকে (৩২) নামে আরও এক ধর্ষক পলাতক থাকায় তার পিতা ছাদেককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, ভারতে আত্মীয় স্বজনের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই দুই তরুণী শনিবার সকালে পুটখালী সীমান্তে দালালদের মাধ্যমে আসে। এরপর তাদের রাতে শাহ-আলম বিশ্বাসের বাড়ি আটকে রেখে গভীর রাতে একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে ৭ জন পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী সারাদিন অভিযান চালিয়ে তাদের মধ্যে ৬ জনকে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক করেছে।

বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালে মাসুদ করিম ধর্ষকদের আটকের বিষয়টির সত্যতা  নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন,অবৈধপথে ভারত যাওয়ার উদ্দেশ্য আসা দুই তরুণীকে পুটখালী গ্রামের ৭ জন ধর্ষক সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। আমি এ খবর জানতে পেরে সুকৌশলে গ্রামবাসির সহযোগিতায় মীমাংসা করার কথা বলে ধর্ষকদের পুটখালী একটি বাড়িতে হাজির করিয়ে খুব দ্রুত তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসি। তাদের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় ধর্ষণের ধারা অনুযায়ী মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হওয়া দুই তরুণী বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তারা যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি প্রাথমিক নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগামীকাল তাদের যশোর আদালতে পাঠানো হবে।

কেআই/