ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আরও ৭ ট্রেনে এনআইডি কার্ড বাধ্যতামূলক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:৩৮ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার

‘সোনার বাংলা’র পরে এবার আরও ৭টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ক্রয়ে জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। রেলওয়ের টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আগামী ২০ মার্চ থেকে আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী, তূর্ণা, নিশীথা, পারাবত এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস এবং দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন/জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি)’র ফটোকপি লাগবে। এনআইডি’র ছাড়া কোন টিকিট দেয়া হবে না।

এর আগে গত ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ‘সোনার বাংলা’ আন্তঃনগর ট্রেনে এই পদ্ধতি চালু করা হয়। পর্যায়ক্রমে সকল ট্রেনের টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রে এনআইডি বাধ্যতামূলক করা হবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, টিকিটের কালোবাজারি রোধ ও একজনের টিকিট অন্যজনের ব্যবহার দূর করতে টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রে এনআইডি যুক্ত করা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে সোনার বাংলা ট্রেনের টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল ট্রেনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধত্বি চালু করা হবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, টিকিট ক্রয় করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, ই টিকিটিং ওয়েবসাইট, রেলওয়ে মোবাইল অ্যাপস ও স্টেশন কাউন্টারে এনআইডি/জন্ম নিবন্ধনসহ নাম রেজিস্টেশন করা যাবে। অপরের আইডি থেকে টিকিট ক্রয় করলে ভ্রমণের আগে স্টেশন থেকে মূল টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। ট্রেন ভ্রমণের সময় মূল টিকিট প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। টিকিটের ছবি কিংবা মোবাইল ফোনের এসএমএস প্রদর্শন গ্রহনযোগ্য নয়।

অনলাইন টিকিটে কারও এনআইডি এবং মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করা থাকলে সেই অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়ে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। অনলাইনে ক্রেতার মোবাইল নম্বরটিই পিএনআর নাম্বার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনলাইনে ভেরিফায়েড যাত্রীরা এই পিএনআর নাম্বারটি বলে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

নতুন ব্যবস্থায় ট্রেনের টিকিটের সঙ্গে যাত্রীর নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর কিংবা জন্মসনদের নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে তা একজনের টিকিট অন্যজনের ব্যবহার করতে পারবে না। যার ফলে ট্রেনের যাত্রীরাই শুধু টিকিট কাটার ও ব্যবহারের সুযোগ পাবে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে অনলাইনে ২০ ভাগ টিকিট পেতে এ প্রকল্প চালু করা হয়। পরে সোনার বাংলা এবং সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের শতভাগ টিকিটেও এসব তথ্য যোগ করা হয়। অনবোর্ড চেকিং সিস্টেম হবে, তখন পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। টিকিট কাটতে হলে যাত্রীকে এনআইডি নম্বর অথবা বার্থ-রেজিস্ট্রেশন নম্বর ইনপুট দিতে হবে।

রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (যন্ত্র) মো. হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে সোনার বাংলা ট্রেনের টিকিটে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। পাইলট প্রকল্প সফল হওয়ায় সব ট্রেনে এটি চালু করা হবে। কালোবাজারি রোধ করাই এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য।

এসএ/