নিউজিল্যান্ডের কাছে যে তিন কারণে হারল বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১৩ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৯:৪০ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৯ বুধবার
হ্যামিল্টনের পর ওয়েলিংটনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে সফরকারী বাংলাদেশ। ইনিংস ও ১২ রানে ম্যাচ হেরে সিরিজও হাতছাড়া করেছে তারা।
পঞ্চম দিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ৭ উইকেট নিয়ে পুরো দিন টিকে থাকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ।
পঞ্চম দিন ৩ উইকেটে ৮০ রান নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। দলীয় ১১২ রানের মাথায় সৌম্য সরকার চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর মিথুন ব্যক্তিগত ৪৭ রানের মাথায় আউট হন। লিটন দাস মাত্র এক রান করে আউট হয়ে যান।
একমাত্র বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন, তিনি তোলেন ৬৭ রান। সব মিলিয়ে ২০৯ রানে অলআউট হয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলিয়ে যে রান তোলে, তা নিউজিল্যান্ডের এক ইনিংসের রান থেকে ১২ রান কম।
বাংলাদেশ এই সিরিজ জুড়েই নিউজিল্যান্ডের শর্ট পিচ বোলিং এর সাথে পেরে ওঠেনি। এমন যেসব কারণে বাংলাদেশ লড়াই করতে পারছেনা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে
মুমিনুল ও লিটন দাসের ব্যাটিং ব্যর্থতা
ওয়ানডে সিরিজ থেকেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটন দাস। তিনটি ওয়ানডেতে প্রতি ম্যাচে এক রান করে আউট হন লিটন দাস। দুই টেস্টে মোট ৬৪ রান তোলেন লিটন দাস। একই ভাবে ব্যর্থ ছিলেন মুমিনুল হক।
৩৫ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ৮টি সেঞ্চুরি করা মুমিনুল হকের উপমহাদেশের বাইরে কোনো সেঞ্চুরি নেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্ট মিলিয়ে ৪৫ রান তোলেন মুমিনুল।
ক্যাচ ফেলা
রস টেইলর যখন ব্যক্তিগত ২০ রানে ছিলেন তখন তার ক্যাচ ফেলে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২০ রানে থাকা অবস্থাতেই ২ বল পরে আবারো তার ক্যাচ মিস করেন সাদমান ইসলাম। এরপর টেইলর ২১২ বলে ১৯টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে মোট ২০০ রান তোলেন। রানের হিসেবে টেইলর ২০ রানে আউট হয়ে গেলে ম্যাচের গতিপথও বদলে যেতে পারতো সেখানে।
নেইল ওয়েগনার জুজু
নেইল ওয়েগনার প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন। এবার দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯টি উইকেট নেন তিনি। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে ধ্বস নামান এই পেস বোলার। চলতি সিরিজে ২ টেস্টে চার ইনিংসে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন নেইল ওয়েগনার।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
এমএইচ/