কার্টুন-মুক্তিযুদ্ধে শব্দহীন প্রতিবাদের হাতিয়ার (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২২ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৪৯ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে শব্দহীন প্রতিবাদের ভিন্ন এক হাতিয়ার- ব্যঙ্গাত্মক ছবি বা কার্টুন। বাঙ্গালী চিত্রযোদ্ধাদের পেন্সিল আর তুলির আঁচড়ে ভিন্ন মাত্রা পায় ইয়াহিয়া-ভুট্টোর নোংরা রাজনীতি। নিরীহ বাঙ্গালীর ওপর ভয়াবহ নৃশংসতার ছবি হতবাক করে বিশ^কে। ধিক্কারের ঝড় তোলেন বিদেশী কার্টুনিস্টরাও। প্রভাবশালী গণমাধ্যমে ব্যঙ্গরসেই প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র আর জাতিসংঘের একচোখা দৃষ্টি।
একটি ব্যঙ্গাত্মক ছবি- লাখো মেশিনগানের গুলি হয়ে বিদ্ধ হয়েছিল পাকিস্তানীদের বুকে। তুলির এক একটি আঁচড় কাঁপন ধরিয়ে দেয় স্বৈরশাসক ইয়াহিয়ার মসনদে। বিশ্ব বিবেকের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ইয়াহিয়া-ভুট্টোর বীভৎসতা।
পটুয়া ছদ্মনামে শিল্পী কামরুল হাসানের আঁকা এই ছবি পোস্টারে পোস্টারে ছড়িয়ে পড়ে বাঙ্গালী হাতে। জোরালো হয় স্বাধীনতার সংগ্রামী কণ্ঠস্বর।
একাত্তরে পেন্সিল, তুলি আর সৃজনশীলতাকে অস্ত্র বানিয়ে রণাঙ্গনে নামেন শিল্পীরা। ৭০’র নির্বাচন নিয়ে শিল্পী রফিকুন নবীর ব্যঙ্গচিত্রে স্পষ্ট ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাঙ্গালীর জয়যাত্রা। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের আগের দিনই ভারতীয় কাটুর্নিস্ট শংকর কুট্টি নায়ারের ছবিতে ভুট্টোর সঙ্গে চ্যালেঞ্জে দৃঢ় ও বলিষ্ঠ ছিলেন মুজিব।
এরপরই ভারতীয় অধিকাংশ গণমাধ্যমের ব্যঙ্গচিত্রে উঠে আসে ইয়াহিয়া-ভুট্টোর নোংরা রাজনীতি। ষ্পষ্ট হয় বাঙ্গালীর ওপর আক্রমনের বার্তা। ২৩ মার্চ দ্যা পিপলসের ছবিতে ছিলো শুধু বাংলার পতাকা । গণহত্যার প্রমাণ প্রত্যক্ষ হয় হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ডের শিল্পী রভিন্দ্রণ ও ডেইলি টেলিগ্রাফের গারল্যান্ডের স্কেচসহ আরো অনেক ব্যঙ্গচিত্রে।
রুখে দাঁড়ায় বাঙ্গালী। আনন্দবাজার পত্রিকার ছবিতে প্রকাশ পায় বাংলাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা।
বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন ভিডিওতে :
এসএ/