পুনঃনির্বাচনের এখতিয়ার আমার নেই: অধ্যাপক ড. জিনাত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:১৩ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:১৫ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেছেন, হল সংসদ নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দেওয়ার এখনিয়ার তার নেই।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার এখতিয়ার হল প্রাধ্যক্ষের নেই। এই সিদ্ধান্ত তাই আমি নিতে পারি না।
প্রাধ্যক্ষ বলেন, ডাকসু নির্বাচন তিনি কোনো মামলা করেননি। শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহারে কোনো সহযোগিতা করবেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রীদের আমার কাছে তো আসতে হবে। অনশনরত ছাত্রীদের সঙ্গে কেন দেখা করেননি— জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ বলেন, আমি ওদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। ওদের কথা বলার জন্য ডেকেছিও। কিন্তু ওরা কথা বলতে আসেনি।
প্রাধ্যক্ষ নিজে কেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যাননি— জানতে চাইলে অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, ওদের এসে আমার সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি তো হলের বাইরে যেতে পারি না। ওরা তো হলের বাইরে আছে। অনশনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য প্রক্টরিয়াল টিম রয়েছে। আমি নিজেও আবাসিক শিক্ষকদের পাঠিয়েছি, যেন ওদের নিরাপত্তায় কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। আমি নিজেই তো তিন রাত ঘুমাতে পারিনি ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে।
তার পদত্যাগের দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদা প্রসঙ্গটি এড়িয়ে বলেন, তাদের সঙ্গে কালকেও আমি ফোনে কথা বলেছি। তাদের আমি বলেছি, তোমাদের হয়তো কিছু ভুল তথ্য (মিস ইনফরমেশন) দেওয়া হয়েছে। আমাদের হাউজ টিউটররা কাল সারাদিনই প্রায় হলের ছাত্রীদের কাছে বলেছে, যদি তোমাদের কাছে কোনো গুজব ছড়ানো হয় বা কোনো মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয় যে মেয়েদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়েছে বা কাউকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সেটি ভুল। রাতেও আমি সেটি বলেছি
উল্লেখ্য, বুধবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টা থেকে ঢাবি রোকেয়া হলের পাঁচ শিক্ষার্থী চার দফা দাবিতে হলের গেটে অনশন শুরু করেন। তাদের দাবিগুলো হলো— রোকেয়া হল সংসদের পুনঃনির্বাচন দেওয়া, হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
টিআর/