ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

চীনকে চাপে রাখতে মালদ্বীপে ভারতের কৌশল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৮ এএম, ১৯ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:২৮ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার

জইশ-ই-মুহাম্মদ নেতা মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করায় এ নিয়ে চার বার বাধা দিল চীন। তার পাল্টা কৌশল হিসেবে কূটনৈতিক ভাবে চীনকে চাপে রাখার পথে এগোলো ভারত।

দু’দিনের মালদ্বীপ সফরের শেষে সে দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ সলিহ সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হল। সেইসঙ্গে সই হল তিনটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও।

গত বছরের প্রায় পুরোটা চীনের সাহায্য পেয়ে ভারত-বিরোধী মনোভাব নিয়ে চলছিলেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন। ইয়ামিন সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য চেষ্টা করে গিয়েছিল বেইজিং।

সেই সরকারের সময় মালদ্বীপে বিপুল লগ্নিও করেছে শি জিনপিং সরকার। সামরিক দিক থেকে দেশটিকে মুঠোয় পুরে ভারতকে রক্তচক্ষু দেখানোর চেষ্টাও কম হয়নি।

ভূকৌশলভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাষ্ট্রটিতে পালাবদল ঘটুক, এটা মনেপ্রাণে চাইছিল সাউথ ব্লক। প্রতিবেশী বলয়ে কোণঠাসা হওয়ার পরে শেষ পর্যন্ত এই প্রাপ্তিটি ভারতের ঘটেছে।     

গত দু’দিনে মালদ্বীপের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ভারত-মলদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে মজবুত করার কাজটি সেরেছেন সুষমা। যে তিনটি চুক্তি সই হয়েছে সেগুলি হল, দু’দেশের কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের মধ্যে যাতায়াত সহজ করা, উন্নয়নক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং অপ্রচলিত শক্তি ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়ানো।

মালদ্বীপের  পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদ ভারতের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মালদ্বীপের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভারতের ভূমিকা পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (যা চীনের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা) শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা নিয়ে কথা হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। আঞ্চলিক নৌ-সুরক্ষা নিয়ে সমন্বয় শক্তিশালী করার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/