ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

‘মাথার মুকুট ছিল আবরার’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৭ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৪৬ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার

রাজধানী ঢাকার প্রগতি সরণিতে বাসচাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন তাঁর পরিবার শিক্ষক ও সহপাঠীরা।

আবরারের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু তার সে স্বপ্ন রাস্তার ধুলোর সঙ্গে মিশে গেল। সে মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পেয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফোশনালসে (বিইউপি) ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনশিপ (আইআর) বিভাগে ভর্তি হয়েছিল। আগামী বছর আবারও মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা ছিল তার। ছেলেকে দাফন করতে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব বলছিলেন তার মা ফরিদা ফাতেমী।

মঙ্গলবার দুপুরে বিইউপির এডিবি গ্রেড গ্রাউন্ড মাঠে জানাজা শেষে বনানী সামরিক করবস্থানে আববারকে দাফন করা হয়েছে। এ সময় পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মা ফরিদা ফাতেমী বলেন, ‘আমার বাবাকে কখনো একা ছাড়তে চাইতাম না। ও বলতো, আম্মু তুমি যদি আমাকে একা চলাফেরা করতে না দাও, তবে আমি ইন্ডিপেন্ডেন্ট হবো কীভাবে? সবাই আমার বাবাটাকে অনেক পছন্দ করতো। পরিবারের মাথার মুকুট ছিল সে।’

আবরারের শিক্ষক বিইউপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শায়লা সুলতানা বলেন, ‘আবরার নেই এটা ভাবতেই পারছি না। গতকাল দুপুরেই তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সে মনে রাখার মতো একজন ছাত্র ছিল। পড়াশোনা, আচার-আচরণ, খেলাধুলা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতাতেও ছিল তার সরব উপস্থিতি।’

                                       বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে আবরার (ডানে)

ছেলের জন্য মুশড়ে পড়েন বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফ আহাম্মেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘জীবনে অনেক কষ্টের সময় পার করেছি। ছেলেকে কবরে শুইয়ে দেয়ার মতো কষ্ট আর কিছুর সঙ্গে মিলবে না। জীবনের সকল সফলতা যেন একটি ঘটনায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল।’

আবরারসহ তারা ছিলেন দুই ভাই। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে ‘এ’ এবং ‘ও’ লেভেল পাশ করে বিইউপিতে ভর্তি হন আববার। ছোট ছেলে আবীদ আহমেদ চৌধুরী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। বসুন্ধরা ডি ব্লকে ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা।

এসি