সুপ্রভাতের সঙ্গে জাবালে নূরও নিষিদ্ধ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪০ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১০:৫০ এএম, ২১ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার
পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সুপ্রভাত ও জাবালে নূর পরিবহনের সব বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বিআরটিএ`র উপ-পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঁইয়া বুধবার রাতে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই দুই পরিবহনের কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের জন্য নেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকেই তাদের কোনও বাস চলতে পারবে না। কাগজপত্র যাচাই শেষে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিআরটিএর এক চিঠিতেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে রাজধানীতে ঢাকা মহানগরীর (রুট নং এ-১৩৮) উত্তরা রানীগঞ্জ থেকে সদরঘাটে চলাচলরত সুপ্রভাত প্রাইভেট লিমিটেডের সব বাস ও মিনিবাস এবং ঢাকা মহানগরীর (রুট নং এ-১৮৪) বসিলা থেকে আব্দুল্লাহপুরে চলাচলরত জাবালে নূর পরিবহন লিমিটেডের সব বাস ও মিনিবাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর নর্দ্দা এলাকার প্রগতি সরণির যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের রাস্তা পার হওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ।
রাস্তার উল্টো পাশে ছিল আবরারের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। জেব্রা ক্রসিং পার হয়ে সেই বাসের কাছে যাচ্ছিলেন তিনি। ঠিক তখন ওই রাস্তায় দুটি বাসের প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে সুপ্রভাত পরিবহনের একটির ধাক্কায় ছিটকে পড়েন আবরার। এরপর সেই বাসটি তাকে চাপা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, তার নিথর দেহ টেনেও নিয়ে যায় খানিকটা। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আবরারের। এ নিয়ে দুইদিন ধরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার সন্ধ্যায় আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
গত বছরের জুলাইয়ে ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই কলেজশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এরপর নিরাপদ সড়ক দাবিতে রাস্তায় নেমে ঢাকার স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একই ধরনের আন্দোলন করেন।
বিমানবন্দর সড়কে ওই দুর্ঘটনার পর জাবালে নূরের দুটি বাসের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছিল। আর মঙ্গলবারের দুর্ঘটনার পর সুপ্রভাতের বাসের নিবন্ধন বাতিল করা হয়।
আরকে//