যান্ত্রিক ত্রুটি
আজ বসছে না পদ্মাসেতুর নবম স্প্যান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ২১ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:৩১ পিএম, ২১ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার
পদ্মাসেতুর নবম স্প্যান বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত তা বসানো হয়নি। কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্প্যানটি আজ বসানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্প্যানটি পিলারের একেবারে কাছাকাছি নিয়ে রাখা হয়েছে।
সেতু নির্মাণকারী চায়না মেজর ব্রিজ এর প্রকৌশলীরা গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, আগামীকাল শুক্রবার (২২ মার্চ) স্প্যানটি পিলারের উপর বসানো হবে।
এর আগে গতকাল বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পৌঁছে।
নবম স্প্যানটি বসানোর পরে দৃশ্যমান হবে পদ্মাসেতুর ১ হাজার ৩৫০ মিটার। ৩৪ ও ৩৫ নম্বর খুঁটির ওপর ৬-ডি নম্বর নবম স্প্যানটি বসবে।
প্রসঙ্গত, নবম স্প্যানটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে (সুপার স্ট্রাকচার) ‘৬ডি’ ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে বুধবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে জাজিরার উদ্দেশে রওনা হয় তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ক্রেন ‘তিয়ান ই’। এর আগে মঙ্গলবার সকালে এই স্প্যানটিকে ক্রেনে ফিটিং করে সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সেতুর মোট পিলার ৪২টি, এর মধ্যে ২১টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। নদীতে যে ২৬২টি পাইল ড্রাইভ বসবে তার মধ্যে ২০৯টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি আছে ৫৩টি পাইল ড্রাইভ। মোট ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৪১টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। তবে এখন পর্যন্ত স্প্যান বসানো হয়েছে ৮টি, বাকি আছে ৩৩টি। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২ পিলারে সাতটি স্প্যান ও মাওয়া প্রান্তে ৫ ও ৬ নম্বর পিলারে একটি অস্থায়ী স্প্যান বসানো হয়েছে।
এসএ/