শুভেচ্ছা জানালেও, নিজে রং মাখলেন না মমতা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২০ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার
দোলে সবাইকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিজে রং মাখলেন না। বৃহস্পতিবার সকালেই টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘পুলওয়ামা জঙ্গিহানায় নিহত জওয়ানদের স্মৃতিতে আমি এ বছর দোলের আনন্দে শামিল হওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
তবে দোলে আনন্দ যেন অন্যে কারও বিষাদের কারণ না-হয়ে দাঁড়ায়, সে ব্যাপারেও রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী দোল না-খেললেও তার দলের নেতা-নেত্রীরা কিন্তু এই উৎসবকেই জনসংযোগের পথ হিসেবে বেছেছিলেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়। সকাল থেকেই তিনি পথে নেমেছিলেন আবির নিয়ে।
পঞ্চান্নগ্রামে তার এই ‘দোল-প্রচারে’ দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা ছাড়াও সামিল হন আমজনতার অনেকে। তবে প্রার্থীর গালে মাখাতে হলে একমাত্র সবুজ আবির। অন্য রঙে নৈব নৈব চ! নজরে এসেছে ‘বসন্তোৎসব’-এর সাজে সজ্জিত সুবেশা তরুণীদেরও।
পিছিয়ে পড়েননি দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ও। তার দোল খেলা শুরু হয়েছে গল্ফ গার্ডেন্সের আবাসনে চৌহদ্দিতেই। সেখানে নন্দিনী দেবী কিন্তু প্রতিবেশীদের গালে ছুঁইয়েছেন লাল আবির। তবে প্রতিবেশীরা লালচে গোলাপি আবির গালে মাখাতে চাইলেও আপত্তি করেননি বাম প্রার্থী।
প্রতিবেশীরা অবশ্য একে ভোট প্রচার হিসেবে দেখতে চাননি। বলেছেন, ‘‘আমরা তো সারা বছরই পাশাপাশি থাকি।’’ আবাসনের দোল পর্ব চুকিয়ে ‘কমরেড’-দের নিয়ে পথে বেরোন নন্দিনী দেবী। রং খেলার ‘ছুতোয়’ চলল টুকটাক প্রচারও।
উত্তর কলকাতার সিপিএম প্রার্থী কনীনিকা ঘোষও এ দিন বেলগাছিয়ায় আবির খেলেন। রং খেলা, জনসংযোগের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের আব্দারে রঙে ভেজা তুলি বুলিয়েছেন দেওয়ালে আঁকা নির্বাচনী প্রতীকেও।
হাওড়ায় হোলির হাত ধরে প্রচারে নামেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সালকিয়ায় রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লের সঙ্গে অবাঙালি সংস্কৃতির ‘মটকা’ ভাঙার অনুষ্ঠানে যোগ দেন ময়দানের প্রাক্তন ফুটবলার।
হইচইয়ের পাশাপাশি ভরা হাটে শুধু হাঁড়িই ভাঙলেন না নীল পাঞ্জাবি, সাদা পায়জামায় তৃণমূল প্রার্থী, সতীর্থের সঙ্গে সেই হাঁড়ির দুধ-জলে কার্যত ভিজে চুপচুপেও হলেন!
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার
এমএইচ/