ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন
মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:৩২ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৯ শনিবার
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষকদের ব্যবহৃত গাড়িগুলো জোড়পূর্বক দখল ও শিক্ষকদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণের বিচার দাবি, পরিবহন পরিচালক ধনেশ্বর চন্দ্র সরকারের সাথে কর্মকর্তাদের অসদাচরণের বিচার দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কতৃক বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন ও যথাযথ সম্মান প্রর্দশন না করায় রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে তৃতীয় দিনের মত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঘোষিত অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি পালনে শনিবারও শিক্ষকরা ক্লাসে আসেননি।
এদিকে, শনিবার (২৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আসন্ন সেমিস্টার পরীক্ষা ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডীন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অচল অবস্থা নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতাদের সাথে বুধবার বৈঠকে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন। বৈঠকে ক্লাসে ফিরে যেতে শিক্ষকদের আহ্বান জানান ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুহম্মদ শাহীন উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রাণ, আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। তবে যারা শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে তাদের শাস্তি ও অপসারণ চাই। আমাদের শিক্ষকদের দাবী মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাস ও পরীক্ষা অব্যাহত রেখেছি।’
প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ কর্মকর্তা কতৃক শিক্ষকদের ব্যবহৃত গাড়িগুলো জোড়পূর্বক দখল ও শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমুলক আচরনের বিচার দাবিসহ ৩ দফা দাবীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত সময় দেয় শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতি।
কেআই/