আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১৯, নিখোঁজ অনেক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৩৫ পিএম, ২৮ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৫৫ পিএম, ২৮ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বনানীর এফ আর টাওয়ারের ভয়বহ আগুন। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিদেশি নাগরিকসহ অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ৭০ জন। নিখোঁজ রয়েছে অনেকে।
উদ্ধার তৎপরতা চলছে। ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত সূত্রগুলো বলছে ভবনটির অষ্টম তলা ১৩ তলা পর্যন্ত আগুনের উত্তাপ বেশি থাকায় এসকল ফ্লোরে হতাহতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে।
নিহতদের মধ্যে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ৩টি মরদেহ, কুর্মিটোলায় ৫, বনানী ক্লিনিকে এক, অ্যাপোলোতে ১ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একজন রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহতদের মধ্যে ৬ জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন- পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), মামুন (৩৬), আমিনা ইয়াসমিন (৪০), আব্দুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মনির (৫০) ও মাকসুদুর (৩৬)।
এছাড়া অনেকে ভবনের জানালা দিয়ে গ্রিল ধরে বেরিয়ে আসেন। আবার অনেক লোক জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে নিচে পড়েন। এতে গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন। এছাড়া এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসাপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তবে বাণিজ্যিক এ ভবনটিতে আগুন লেগে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও ধারণা করা যাচ্ছে না। নিরাপত্তা কর্মীরা এখন পর্যন্ত ভবন ঘুরে দেখছেন আটকে পড়া কেউ রয়ে গেছেন কি-না। তারা পরীক্ষাও করে দেখছেন, নতুন করে আগুনের কোনো সূত্রপাত সেখানে রয়েছে কি-না।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ২২তলা এফআর টাওয়ারের আট ও নয়তলায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে ওই ভবনে আটকা পড়েন বহু মানুষ।
ভয়াবহ রকমের এ আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একে একে ২৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছে। কিন্তু পর্যাপ্ত পানির অভাবে পুরোপুরি কাজ করতে পারছিলো না ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে ঘটনাস্থলে অভিযানে অংশ নেয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা।
এফআর টাওয়ারের ছাদে থেকে আটকে পড়াদের হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্দার করা হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা প্রায় ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরকে//