ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১

সড়ক দুর্ঘটনায় কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম আহত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৭ এএম, ৩০ মার্চ ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০২:২৬ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৯ শনিবার

সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম। ঢাকা–রংপুর মহাসড়কে বগুড়ার শহরতলীর ঝোঁপগাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত ৩টার দিকে তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটিকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই প্রাইভেটকারের চালক এবং শিল্পীর সহযাত্রী খোকন নামে এক ব্যবসায়ীও আহত হন।

খুরশীদ আলমকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শজিমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আব্দুল আজিজ মণ্ডল জানান, রাত তিনটার কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা উদ্ধার করে খুরশীদ আলমকে হাসপাতালে আনেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার পর তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে আজ শনিবার সকালে শজিমেক হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুশান্ত কুমার সরকার আহত শিল্পীর চিকিৎসা শুরু করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওই দুর্ঘটনায় খুরশীদ আলম মাথায় আঘাত পেয়েছেন। এছাড়াও তার কয়েকটি দাঁত ভেঙে গেছে। তিনি আগের তুলনায় কিছুটা সুস্থ আছেন বলেও উল্লেখ করেন এই চিকিৎসক।

জানা গেছে, বগুড়াস্থ জয়পুরহাট কল্যাণ ট্রাস্ট’র উদ্যোগে খুরশীদ আলমকে সম্মাননা প্রদান ও ভ্রাতৃত্ব মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বগুড়া শহরতলীর নওদাপাড়া এলাকায় মম–ইন নামে তারকাখচিত হোটেলে আসেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে সেখানেই তার রাত্রীযাপনের কথা ছিল।

জয়পুরহাট কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যরা জানান, রাত দেড়টার দিকে তিনি তার পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী খোকনের প্রাইভেটকারে করে শহরে যান। শহরে ঘোরাফেরা শেষে মহাসড়ক হয়ে তারা হোটেলে ফিরছিলেন। পথের মধ্যে ঝোঁপগাড়ি এলাকায় দ্রুতগামী একটি ট্রাক প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়।

উল্লেখ্য, এই গুণী কণ্ঠশিল্পীর জন্ম ১৯৪৬ সালে। তার বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকার আলাউদ্দীন রোড এলাকায়। তিন ভাই, দুই বোনের মধ্যে সবার বড় খুরশীদ আলম। তার বাবা এ এফ তসলিমউদ্দিন। ছোটবেলা থেকেই খুরশীদ আলমের সঙ্গীতের প্রতি আকর্ষণ ছিল।

খুরশীদ আলমের গাওয়া অনেক গান রয়েছে জনপ্রিয়তার তালিকায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘মাগো মা, ওগো মা, আমারে বানাইলি তুই দিওয়ানা’, তোমরা যারা আজ আমাদের ভাবছো মানুষ কি না…’, বন্দি পাখির মতো মনটা কেদে মরে’ ইত্যাদি।

এসএ/