আজ ১২তম বিশ্ব অটিজম দিবস
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২৩ এএম, ২ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার
১২তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ মঙ্গলবার। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিবস উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদে, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রমুখ।
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে ও দেশে অটিজম দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে আজ থেকে তিন দিন পর্যন্ত দেশের সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহে নীলবাতি প্রজ্বলন করা হবে।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর নীলবাতি প্রজ্বলনের পর থেকেই তিনদিনব্যাপী নীলবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি কার্যকর হবে। পাশাপাশি অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ অবদান রাখায় অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন সফল ব্যক্তিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক, একটি ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হবে।
অন্যান্য পুরষ্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে একটি করে ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মোট সংখ্যা প্রসঙ্গে সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে মোট ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬০৮ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৭ হাজার ৪১৭ জন রয়েছে অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তি।’
এবারের অটিজম দিবসের প্রতিপাদ্য হলো— ‘সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির অধিকার।’ প্রতিপাদ্যটি দিবসটি পালন করা হবে।
অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
এক সময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কন্যা ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন। সায়মা ওয়াজেদ এ অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে তার বিরাট অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছেন।
টিআর/