ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

স্বীকৃতি না পাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে গোড়পাড়া মহিলা কলেজ

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:৫২ পিএম, ২ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

যশোরের শার্শা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে এলাকার বিদ্যানুরাগী এবং শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের উদ্যোগে ১৯৯৫ সালে গড়ে উঠেছিল গোড়পাড়া মহিলা কলেজ। কলেজটি সকল শর্ত পূরণ করায় শিক্ষাবোর্ড পাঠদানের অনুমতি প্রদান করেন। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা, ফলাফল, অবকাঠামোসহ সকল শর্ত পূরণ করলেও ৯ বছরেও কলেজটি পায়নি একাডেমিক স্বীকৃতি। যার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে কলেজটির সকল কার্যক্রম।

যশোরের শার্শা উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে নিজামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত গোড়পাড়া মহিলা কলেজ। নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষে এলাকার বিদ্যানুরাগী এবং শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের উদ্যোগে গড়ে উঠে এই কলেজটি। নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ১২ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারীকে।

সকল শর্ত পূরণ করায় শিক্ষাবোর্ড ২০১০ সাল থেকে পাঠদানের অনুমতি প্রদান করেন। একই বছর সরকারিভাবে নির্মিত হয় দ্বিতল ভবন। আর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৫ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকার বিদ্যানুরাগীদের সহযোগিতায় ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ কলেজ থেকে নিয়মিতভাবে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছিল।

কয়েকবার স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারসহ একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করলেও একাডেমিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। যার কারণে ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সকল কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা প্রায় দুই যুগ আগে পরিচালনা কমিটির নিকট থেকে নিয়োগ পেয়ে নিয়মিত পাঠদানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম পরিচালনার করার পর একাডেমিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় অবশেষে তারা শিক্ষকতার মতো মহান পেশা ছেড়ে দিয়ে জীবিকার তাগিদে এই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে বিভিন্ন পেশায় যোগ দিয়েছেন। এলাকাবাসী অবিলম্বে নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষে কলেজটি চালুর দাবী জানিয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত গোড়পাড়া মহিলা কলেজ।  কলেজটি ২০১০ সালে পাঠদানের অনুমতি পায়। একাডেমিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় ২০১৭ থেকে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে। পুনরায় কলেজটি চালু করতে হলে বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবর আবেদন করলে কলেজটি পুনরায় চালু করা সম্ভব।

কেআই/