ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মাদক গ্রহণ আর স্মার্টফোন ব্যবহারে পার্থক্য নেই : জাফর ইকবাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৯ এএম, ৬ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০১:৩৬ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, ড্রাগস গ্রহণের সঙ্গে স্মার্টফোন ব্যবহারের কোনো পার্থক্য নেই। একটা জেনারেশন তৈরি হয়েছে যারা সব সময় স্মার্টফোনে চোখ রাখে। এমনকি তাদের অভিভাবকরাও একই কাজ করেন। যারা সব সময় ফোনের দিকে চোখ রাখে তারা দেশকে, রাষ্ট্রকে কিছু দিতে পারে না।

গতকাল শুক্রবার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্লাব ‘৭১ অবিনাশী সত্তা’ আয়োজিত ‘অনিঃশেষ ৭১’ নামক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন । রাজধানীর বেইলি রোডস্থ স্কুলটির ক্যাম্পাসে ‘মুক্তিতে অনির্বাণ, স্মৃতিতে অনিঃশেষ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমরা অসম্ভব সৌভাগ্যবান একটি জাতি। কারণ এ দেশেই জন্ম নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যাঁর নেতৃত্বে আমরা এই বাংলাদেশ পেয়েছি। তবে সবচেয়ে বড় ঝড় আসলো, যখন রাজাকাররা মন্ত্রী হলেন। তবে আমাদের সৌভাগ্য বলতে হবে যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই সেই রাজাকারদের বিচার করলেন। তাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের সঠিকভাবে জানতে হবে। এটা জানলেই দেশকে ভালোবাসা হবে।’

বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘বিশ্বের পাঁচটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। বর্তমানে আমাদের পাঁচ কোটি ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করছে, যা অনেক দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। এই ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা শেষ করলে আমাদের কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশটা মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলের। তাই হিন্দুদের বিধর্মী বলা চলবে না। আমি এই শব্দটা ব্যবহার কোনোভাবেই সমর্থন করি না।’

জাফর ইকবালের বক্তব্যের আগে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সদস্য অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ বলেছিলেন, ‘বিধর্মী হয়েও মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল, অথচ একই ধর্মের লোক হয়েও পাকিস্তান আমাদের নির্বিচারে হত্যা করে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নিং বডির সদস্য আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌসি বেগম, সংগঠনের সভাপতি নিশাত মারিয়াম, প্রতিযোগিতার মডারেটর সৈয়দা তানজীনা ইমাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

জানা যায়, ‘অনিঃশেষ ৭১’প্রতিযোগিতায় রাজধানীর ৪০টি স্কুল ও কলেজ অংশ নিচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন, ভাস্কর্য, কুইজ, শর্টফিল্ম নির্মাণ, গান, কবিতাসহ মোট আটটি বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আজ বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।

 

টিআর/