ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

নির্বাচন সু্ষ্ঠু হয়েছে, ফল মেনে নেব: রুবানা হক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২০ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১১:৩৮ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ এখন চলছে গণনা। ভোট গণনা শুরুর আগমুহূর্তে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেলের প্রার্থী মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এতে ফল যায় হোক, আমরা মেনে নেব।

শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিজিএমইএ ভবনে সকাল সাড়ে ১০টায় ভোট দেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা জানান।

এ সময় তিনি আরো বলেন, সত্যিকার অর্থে আমরা বিজয়ী হলে সেই বিজিএমইএ গড়ে তুলব, যেখানে ছোট-বড় সব কারখানা সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে।

নির্বাচনে আমরা আছি, আবার আমাদের প্রতিপক্ষও আছে। নির্বাচন নিয়ে অনেকেই নানা অভিযোগ দিচ্ছেন। বিষয়টা এমন দাঁড়িয়েছে যে, অভিযোগ করতে করতে অভিযোগ করায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এটা বলতে পারি, সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। এ নির্বাচনের ফল যাই আসুক, তা সানন্দে মেনে নেবো।

দীর্ঘ ৬ বছর পর তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়। শেষ হয় বিকাল ৪ টায়। এ ভোটের মাধ্যমে আগামী দুই বছরের (২০১৯-২১) জন্য পোশাক মালিকরা তাদের কাণ্ডারি নির্বাচিত করবেন।

নির্বাচনে ঢাকা অঞ্চলের ২৬ পরিচালক পদের বিপরীতে লড়ছেন দুই প্যানেলের ৪৪ জন প্রার্থী। মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেলের নেতৃত্ব দেবেন। আর স্বাধীনতা পরিষদের নেতৃত্ব দেবেন জাহাঙ্গীর আলম।

বিজিএমইএ’র পরিচালক সংখ্যা ৩৫। আজ শুধু ঢাকা অঞ্চলের ২৬ পরিচালক পদের বিপরীতে ভোট হবে। কারণ চট্টগ্রাম অঞ্চলে নির্ধারিত ৯টি পরিচালক পদের বিপরীতে ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার এক হাজার ৯৫৬ জন। তার মধ্যে ঢাকার এক হাজার ৫৯৭ এবং চট্টগ্রামে ৩৫৯ জন। পরিচালক পদে বিজয়ীরা পরবর্তীতে সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন।

সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- রুবানা হক, এসএম মান্নান, ফয়সাল সামাদ, মোহাম্মদ নাছির, আসিফ ইব্রাহিম, আরশাদ জামাল, এমএ রহিম, কেএম রফিকুল ইসলাম, শহীদুল হক, মশিউল আজম, ইনামুল হক খান, মাসুদ কাদের, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, রেজওয়ান সেলিম, মুনির হোসেন, একেএম বদিউল আলম, মিরান আলী, মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, মোশারফ হোসেন ঢালী, শিহাবউদ্দোজা চৌধুরী, মহিউদ্দিন রুবেল, শরীফ জহির ও নজরুল ইসলাম। এ যৌথ প্যানেলের চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীরা হলেন- আবদুস সালাম, এএম চৌধুরী, এএম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা।

অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের প্রার্থীরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, দেলোয়ার হোসেন, হুমায়ুন রশিদ, রফিক হাসান, সাইফুল ইসলাম, শওকত হোসেন, খন্দকার ফরিদুল আকবর, জাহাঙ্গীর কবির, জাহিদ হাসান, শরিফুল আলম চৌধুরী, কাজী আবদুস সোবহান, জহিরুল ইসলাম, কাজী মাহয্যাবিন মমতাজ, মাহমুদ হোসাইন, হোসেন সাব্বির মাহমুদ, আয়েশা আক্তার, মো. ওয়ালীউল্লাহ এবং ওমর নাজিম হেকমত।

আরকে//