বিজেপির জনসমর্থন দেখে দিদি ভয় পেয়েছেন: মোদী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:১৭ পিএম, ৭ এপ্রিল ২০১৯ রবিবার
ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রোববার কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে নির্বাচনী সভা করেন মোদী। সেখানে সারদা, নারদ এবং রোজভ্যালি কাণ্ড নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার উন্নয়নের পথে ‘স্পিড ব্রেকার’ বলে উল্লেখ করেন। পিসি-ভাইপোর রাজত্বে বাংলা অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বলেও দাবি করেন মোদী।
নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ তোলে বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষকে সভায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও মানুষ যে ভালবাসা দেখিয়েছেন তাতে আমি অভিভূত। মঞ্চের জন্য রাজ্য প্রশাসন যে জায়গা দিয়েছে, তাতে বেশি লোক ধরবে না। এ ভাবে বাচ্চাদের মতো আচরণ করে নির্বাচন জেতা যায় না। বরং বাধা সত্ত্বেও এত মানুষ যে ভিড় জমিয়েছেন, এটাই দিদির পরাজয়ের পরিচয়।’’
সিপি-এসপি বদলি নিয়ে শনিবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তোলেন। এমনকি বিজেপির নির্দেশেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানান। তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে কটাক্ষ করেন মোদী।
তার কথায়, ‘‘আমার প্রতি সাধারণ মানুষের এমন ভালবাসায় স্পিড ব্রেকার দিদির ঘুম উড়ে গিয়েছে। তাই নিজের অফিসারদের উপর রাগ দেখাচ্ছেন। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের উপর। জনসমর্থন চলে গেলে কী হয়, তা দিদির আচরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে। বিজেপির পক্ষে এই জনসমর্থন দিদিকে আয়না দেখিয়েছে। তাতে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছে উনি। তাই আমাকে কুকথা বলে বেড়াচ্ছেন।’’
সভায় উপস্থিত সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে মোদী বলেন, ‘‘গরিবের ঘরে গ্যাসে রান্না হচ্ছে আগে ভাবা যেত না, কিন্তু এখন তা সম্ভব হয়েছে। বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসবাদীদের খতম করা অসম্ভব বলে মনে হত আগে, কিন্তু এখন তাও সম্ভব হয়েছে। আপনারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন বলেই জঙ্গিরা মারা পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আগের সরকার মুখবুজে পাকিস্তানের হুমকি সহ্য করত। কিন্তু দিল্লিতে আপনারা চৌকিদারকে ক্ষমতায় আনার পর সব হিসাব পাল্টে গিয়েছে। এখন ঘরে ঢুকে সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে । এতকিছু সহ্য হচ্ছে না দিদির। তাই মোদী হটাও স্লোগান দিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ যখন মোদীর রক্ষাকবচ, তখন তাকে সরানো কি এতই সহজ?’’
তিনি বলেন, ‘‘মা-মাটি-মানুষ স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা। এখন তিনি ‘টুকড়ে টুকড়ে’ গ্যাংয়ের সমর্থক। এতে ভারত মায়ের অবমাননা হয়েছে। রাজনৈতিক ফায়দার জন্য ঘুষখোর দের আড়াল করে মাটির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন দিদি। তৃণমূলের গুন্ডাদের লেলিয়ে দিয়ে মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উনি।’’
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার
এমএইচ/