নাদিয়া-তানভীরের ‘বিমূর্ত চিন্তা’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৩৪ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৭:৩৬ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার
ট্র্যাফিক জ্যাম শহুরে সভ্যতার নিউ এডিশন। এই যন্ত্রনা সহ্য করতে হয়নি এমন মানুষ ঢাকা শহরে নেই বললে ভুল হবে না। প্রায় অসহনীয় এই জ্যাম যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে যদি এমন কোন জুতো আবিষ্কার করা যায়, যে জুতো পড়লে মানুষ উড়তে পারবে, তাহলে কেমন হতো? ব্যাপারটা কল্পনা করে পাঠক নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন? আশ্চর্য্য হবার কিছু নেই, এমনই একটি বিষয়কে কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে ‘বিমূর্ত চিন্তা’ নামের ছয় পর্বের একটি ধারাবাহিক।
নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মৃত্তিক মিরাজ। ব্যতিক্রমধর্মী এই নাটকটি প্রযোজনা করেছেন এম এ আউয়াল।
নাটকে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানভীর ও নাদীয়া নদী। আরও অভিনয় করেছেন কাজী উজ্জল, এলিনা শাম্মী, শামীম আহমেদ, ম্যাক তামিম, পাপড়ি, রনো, নন্দিত আনিস, মোল্ড-১ সাগর, মোল্ড-২ আরিয়ান, মি. মিতায়ানসহ আরও অনেকে। আসন্ন ঈদে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে নাটকটি প্রচারিত হবার কথা রয়েছে।
‘বিমূর্ত চিন্তা’ নাটকের চিত্রগ্রহণে ছিলেন মোস্তাক মোরশেদ, প্রধান সহকারী পরিচালক ইয়াসিন সুমন, সহকারী পরিচালক সুজন।
নাটকের গল্প সম্পর্কে পরিচালক মৃত্তিক মিরাজ জানান, ‘বিমূর্ত চিন্তা’ নাটকের গল্প আবর্তিত হয়েছে ট্র্যাফিক জ্যাম থেকে মুক্তি পেতে বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কারকে কেন্দ্র করে। যন্ত্রকৌশলের মেধাবী ছাত্র দারায়াত “ফ্লাইং সু” নামক একটি উড়ন্ত বাহন আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে নিজ বন্ধুদের মধ্যে ষড়যন্ত্র। নাটকের এক পর্যায়ে দারায়াত নিখোঁজ হয়।
এদিকে নায়িকা ফায়রুজ দারায়াতকে হারানোর শোকে সিজোফ্রেনিয়া রোগে আকান্ত হয়।
পরিচালক আরো জানান, তবে মজার বিষয় হচ্ছে,“ফ্লাইং সু” আবিষ্কারের থ্রীডি নকশা দারায়াত কোথায় রেখে যায় কেউই খুঁজে পায়না। দারায়াত জীবিত না মৃত এবং “ফ্লাইং সু”র নকশা নিয়ে সৃষ্ট রহস্যেকে কেন্দ্র করে নাটকটির গল্প সামনের দিকে এগিয়েছে। আশাকরি দর্শক নাটকটি দেখে বিনোদিত হবেন।
এসি