করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব আইসিএবি ও আইসিএমএবির
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৪০ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার
আসন্ন বাজেটে সব ক্ষেত্রে করপোরেট কর হার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে পেশাদার হিসাববিদদের সংগঠন ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)। বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে আগামী বাজেট থেকে করপোরেট করহার পর্যায়ক্রমে ২ শতাংশ করে কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত উভয় শ্রেণীর কোম্পানির জন্য পর্যায়ক্রমে কর হার কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশও (আইসিএমএবি)।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ সব প্রস্তাব দেয় এই দুটি সংগঠন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে এ বাজেট আলোচনায় আইসিএবি ও আইসিএমবি ছাড়াও পেশাজীবী সংগঠন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস, শিপিং ফ্রেইট ফরওয়ার্ড, ট্যাক্স ল ইয়ার্স, ইন্ডেন্টরস অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন অংশগ্রহণ করে। এ সময় এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইসিএবির প্রেসিডেন্ট এএফ নেসার উদ্দিন বলেন, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, আইনের বৈপরীত্য পরিহার ও ফাঁকফোকর কমানো, আইনের প্রয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, বিনিয়োগ কার্যক্রমকে অধিকতর উৎসাহ প্রদানের জন্য বাজেটে বেশকিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে আইসিএবি।
অন্যদিকে, আইসিএমএবিও-এর সভাপতি এম আবুল কালাম মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে করপোরেট কর হার প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় বেশি। বিনিয়োগকে উৎসাহী করতে তালিকাভুক্ত এবং তালিকাবহির্ভূত উভয় কোম্পানির জন্য তা কমাতে হবে। বর্তমানে সর্বনিম্ন করের ক্ষেত্রে তিনটি স্ল্যাব রয়েছে। এটি পরিবর্তন করে একটি সহজতর নিয়ম করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা। ব্যক্তিকরদাতাদের সম্পদ করের সীমা ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা করা। মাসিক বেতন ১৬ হাজার টাকা হলেই রিটার্ন দেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা পরিবর্তন করে ২৫ হাজার টাকা করাসহ আয়কর আইনের বেশকিছু বিষয়ে সংস্কারের প্রস্তাব দেয় ঢাকা ট্যাক্সসেস বার অ্যাসোসিয়েশন।
এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশে এখন ৪০ লাখ টিআইএনধারী রয়েছে। এর মধ্যে ১৬-১৮ লাখ রিটার্ন দাখিল করে। কিন্তু এখনও যারা রিটার্ন দেয় না, তাদের খুঁজে বের করা হবে।