পাকিস্তানের ভুট্টা বিক্রেতা বানিয়ে ফেললেন আস্ত বিমান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৩৪ এএম, ১০ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার
স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন বিমানচালক হওয়ার। কিন্তু অভাবের তাড়নায় পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। সংসার চালাতে শুরু করেন ভুট্টা বিক্রি।
কিন্তু বিমান চালানোর ইচ্ছা মুছে যায়নি তার মন থেকে। সেই ইচ্ছাকে পরিণতি নিতে নিজেই বানিয়ে ফেলেছেন ছোট বিমান। আর সেই বিমান চালানোর জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষায় দিন গুনছেন তিনি।
ঘরে বসে নিজের হাতে বিমান তৈরি করা ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ ফায়াজ। তিনি পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের পাকপাট্টাম গ্রামের বাসিন্দা। অভাবের জন্য স্কুল ছাড়লেও নিজের ছেলেবেলার স্বপ্ন তাকে ৩০ বছর বয়সেও তাড়িয়ে বেড়াত।
সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে দরকার ছিল টাকার। সে জন্যভু্ট্টা বিক্রির পাশাপাশি নাইটগার্ডের কাজও শুরু করেন। ব্যাঙ্ক থেকে ৯০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন।
এক বছর আগে তিনি নিজের বিমান তৈরির কাজ শুরু করেন। অন্যের থেকে কোনও রকম প্রযুক্তিগত সহায়তা ছাড়াই তিনি তৈরি করে ফেলেন একটি আস্ত বিমান। তবে কারও থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য না নিলেও বিমান ওড়ানোর পদ্ধতি ও এয়ার প্রেসার সম্পর্কিত বিষয় তিনি শিখেছিলেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের ‘এয়ার ক্রাশ ইনভেস্টিগেশন’ শো থেকে।
ওই শো-তে ভেঙে পড়া বিমানের বিভিন্ন অংশ ও তার কাজ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। সেই দেখেই বিমান তৈরির ব্যাপারে খুঁটিনাটি শিখে নিয়েছিলেন ফায়াজ। লাহৌরের চৌবারজি স্কোয়ারে জনসাধারণের জন্য প্রদর্শিত পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমানটিও তিনি দেখেছিলেন।
বিমান বানিয়ে তিনি সে দেশের অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান। কিন্তু অনুমতি দেওয়ার পরিবর্তে পুলিশ গত ৩১ মার্চ তার বানানো বিমানটি বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় গত ৪ এপ্রিল তার বানানো বিমানটি ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
পাকিস্তানের অসামরিক বিমান চলাচল ফায়াজের তৈরি বিমানের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। তাদের কাছ থেকে উড়ানের ছাড়পত্র পাওয়ার আশায় এখনও দিন গুনছেন ফায়াজ।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার
এমএইচ/