সম্মাননা পেলেন তিন উদ্যোক্তা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৪ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার
ভিন্ন উদ্ভাবনী চিন্তা নিয়ে এগিয়েছেন বন্ধুর পথ। ভাগ্য গড়েছেন নিজ হাতে। সুযোগ সৃষ্টি করেছেন কর্মসংস্থানের। ভিন্নধর্মী উদ্যোগগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পরিবেশ দূষণ রোধেও। এমন তিন উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দিল বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)। হোটেল সোনারগাঁওয়ে গতকাল পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (এনবিআর) মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়ার কাছ থেকে এ সম্মাননা নেন তিন উদ্যোক্তা—রকমারি ডটকমের স্বত্বাধিকারী মাহমুদুল হাসান, আজিজু রিসাইক্লিং অ্যান্ড ই-ওয়েস্ট কোম্পানি লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ ও মুনলাইট পেট ফ্লেকস অ্যান্ড পেট স্ট্রিপ ইন্ডাস্ট্রির স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান জুয়েল।
সারা দেশ থেকে পাওয়া আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর এ তিন উদ্যোক্তাকে এবার সম্মাননার জন্য নির্বাচিত করা হয়। বণিক বার্তা ও বিআইডিএসের উদ্যোক্তা সম্মাননার এটা ষষ্ঠ আয়োজন।
বণিক বার্তা ও বিআইডিএসকে এ আয়োজনের জন্য অভিনন্দন জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমরা যারা সরকার থেকে এখানে আছি তারা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে আরো কিছুটা সচেতন হতে পেরেছি। সরকার দূরে থেকেও কোনো কিছুতে হস্তক্ষেপ না করে কীভাবে সহায়তা করতে পারে, সেগুলো তুলে ধরলে আমরা উপকৃত হব।
গবেষণামূলক কাজের প্রতি আলোকপাত করতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান নির্বাহী সবসময়ই গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেন। আজ (গতকাল) একনেকে আটটি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি অনুমোদন পেয়েছে, একটি ফেরত গেছে। এর মধ্যে একটি প্রকল্প শুঁটকি মাছ নিয়ে গবেষণাসংক্রান্ত। এটা নিয়ে প্রধান নির্বাহী অনেক উত্ফুল্ল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ ধরনের কাজ বেশি করে করা উচিত।
তিন উদ্যোক্তার সফলতা সত্যিই পুরস্কার ও সম্মাননা পাওয়ার যোগ্য বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, বলার চেয়ে শোনাটাই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সবাই অনেক সুন্দর কথা বলেছেন, অনেক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এটা আমার জন্য উপরিপাওনা হলো। বণিক বার্তা ও বিআইডিএস যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত বা সম্মানিত করার জন্য নির্বাচন করেছে, সেখানে চমক রয়েছে। তারা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে একটা বিশেষ দিক লক্ষ রেখেছে। আমি মনে করি, সামনের দিনগুলোয় তাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। যারা পুরস্কৃত হয়েছেন আমরা তাদের অভিজ্ঞতা ও লড়াইয়ের কথা শুনলাম। সবাই অনেক কথা বলেছেন। তাদের সব কথার সঙ্গে হয়তো একমত হতে পারিনি। তবে যারা ট্যাক্স দেন তাদের সবাইকে পুরস্কৃত করা উচিত।
বণিক বার্তা ও বিআইডিএসের এ উদ্যোগকে প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া। তিনি বলেন, ব্যতিক্রমী উদ্যোক্তাদের নির্বাচন করে পুরস্কার দেয়া আমাদের উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবে। ই-বর্জ্য যে আমাদের দেশে একটা সমস্যা হবে, অনেকেই সে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। এখনো এটি নিয়ে অনেকে চিন্তিত। এ কারণে যারা এই ই-বর্জ্য প্রডাক্টিভ কাজে লাগাচ্ছে, সে ধরনের প্রতিষ্ঠান আরো হবে বলে আমরা আশা করি। রকমারি ডটকম ভালো করছে আগে থেকেই। তারাও এখন আরো উৎসাহিত হবে। পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বোতলের উদ্যোগটিও ভালো। তিনটি প্রতিষ্ঠানই ট্যাক্সের বিষয়ে বলেছে। এ বিষয়ে বলব, রেভিনিউ বাড়ুক, এটা সবাই চায়। ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বাড়ানো আমাদের প্রয়োজন। চার কোটি হতদরিদ্রদের সহায়তা, বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষার জন্যই এর প্রয়োজন। ট্যাক্স পেয়ারদের জন্যই এটা সম্ভব হচ্ছে। দেশের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতেই এর প্রয়োজন আছে।
সূচনা বক্তব্যে এ আয়োজনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তুলে ধরেন বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, গত ২০-৩০ বছরে এ দেশের মাটি, মানুষ ও সমাজকাঠামো নতুন একটা বাতাবরণ পেয়েছে। এখানে অনেক বাধার গল্প আছে, অনেক সমস্যার গল্প আছে। কিন্তু এসবের মধ্যেও মানুষ নিজ নিজ উদ্যোগে নানা কিছু করা শুরু করে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আনুকূল্য ছাড়াই বলতে গেলে পরিশ্রম আর মেধাকে কাজে লাগিয়ে তারা এগিয়ে এসেছে। এসব মানুষ সম্পর্কে আমরা কম জানি। আমরা প্রতি বছর চেষ্টা করি সেই মানুষগুলোকে হাজির করার। আজকে যাদের সম্মাননা জানানো হলো, তারা শুধু নিজেরাই নিজের পরিচয় তৈরি করছেন না, বাংলাদেশেরও পরিচয় তারা দাঁড় করাচ্ছেন। বাংলাদেশকে একটা বড় জায়গায় নিতে ভূমিকা রাখছেন তারা। আমাদের এ আয়োজনটা সেসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আয়োজন, তাদের চেনানোর আয়োজন। আমরা চাই, এ মানুষগুলো আরো বড় হোক। দেশকে আরো বড় সম্মানের জায়গায় নিয়ে যাক।
স্বাগত বক্তব্যে বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. কে এ এস মুরশিদ বলেন, বাংলাদেশ এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেখানে অনেক অর্জনের পাশাপাশি বেশকিছু চ্যালেঞ্জও আছে। এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে হলে আমাদের এসএমই খাতকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যদিও এসএমই খাতে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে আসছি। তবুও আমরা যতটা আশা করেছি, সেই অনুপাতে সাড়া মেলেনি। এসএমই যতটা দ্রুত এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন, ততটা এগোচ্ছে না। আজকে যারা সম্মানিত হচ্ছেন, তাদের নিয়েই এসএমই খাতটির অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
উদ্যোক্তা সম্মাননা-২০১৯-এ নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, যখন আমরা উদ্যোক্তার কথা বলি, তখন সবার আগে আমাদের মাথায় আসে এসএমইর কথা। জিডিপিতে এসএমইর অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ। আমাদের যতগুলো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আছে, তার ৯৯ শতাংশই উঠে এসেছে এসএমই খাত থেকে। কৃষি খাতটি বাদে, অন্যান্য খাতে যে কর্মসংস্থান তৈরি হয়, তার ৭৫ শতাংশই হয় এসএমই খাতে। এজন্য আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড বলা যায় এসএমইকে। এই এসএমইর পেছনে যারা আছেন, তারা অনেকটা অদৃশ্য নায়কের মতো। দেশের অর্থনীতিতে, জিডিপিতে তারা যে অবদান রাখছেন, সে তুলনায় তারা রাষ্ট্র বা সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে সহযোগিতা পান না। বণিক বার্তা ও বিআইডিএস সেই অদৃশ্য নায়কদের কয়েকজনকে আমাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল। এমন একটা আয়োজনে পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত।
বণিক বার্তা-বিআইডিএস উদ্যোক্তা সম্মাননা-২০১৯-এর জন্য নির্বাচিত উদ্যোক্তাদের একজন রকমারি ডটকমের স্বত্বাধিকারী মাহমুদুল হাসান। পছন্দের বই দেশের যেকোনো প্রান্তের পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে ২০১২ সালে যাত্রা করে রকমারি ডটকম। বই কেনার এই অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করছেন ১৩০ জন কর্মী। সারা দেশে আড়াই লাখের বেশি পাঠক রয়েছে রকমারি ডটকমের। সম্মাননাপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় মাহমুদুল হাসান বলেন, ৬ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে আমার উদ্যোক্তা জীবনের শুরু। ১৯ বছরের চেষ্টায় রকমারি ডটকমসহ আরো সাতটি প্রতিষ্ঠান আমি গড়ে তুলেছি। আজকে রকমারি ডটকম উদ্যোক্তা হিসেবে সম্মাননা পেল। এটা আমার কাছে অনেক বড় একটা পাওয়া। আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে এ ধরনের সম্মাননা সব সময় উৎসাহিত করবে।
সম্মাননাপ্রাপ্ত আরেক উদ্যোক্তা হলেন আজিজু রিসাইক্লিং অ্যান্ড ই-ওয়েস্ট কোম্পানি লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেলপাড়ায় ২০১২ সালে যাত্রা করে প্রতিষ্ঠানটি। স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক মিলিয়ে এখানে কাজের সুযোগ হয়েছে ৩০০ জনের। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ৩৬ কোটি টাকা।
সম্মাননাপ্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি সিঙ্গাপুরে প্রায় ২০ বছর ধরে ই-বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতের কাজ করেছি। এরপর আমার মনে হলো, আমি দেশে গিয়ে এই কাজটি করব। বাংলাদেশে ই-বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করছি পাঁচ বছর ধরে। আমি চাই পরিবেশ দূষণ রোধে কাজ করতে। বণিক বার্তা ও বিআইডিএসের এ সম্মাননাকে পুঁজি করে আমি আরো সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি।
সম্মাননার জন্য নির্বাচিত অন্যজন হলেন মুনলাইট পেট ফ্লেকস অ্যান্ড পেট স্ট্রিপ ইন্ডাস্ট্রির স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান জুয়েল। ফেলনা বোতল নিয়ে ২০১১ সালে কারবার শুরু করেন তিনি। ২০১২ সালে চীন ও ভারতে উৎপাদিত বোতলকুচি রফতানি শুরু করে এ প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে চীনে ২৪০ টন স্ট্রিপ রফতানি করছে মুনলাইট পেট ফ্লেকস অ্যান্ড পেট স্ট্রিপ ইন্ডাস্ট্রি। অনুভূতি জানাতে গিয়ে হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেন, বণিক বার্তা-বিআইডিএস আজকে আমাকে উদ্যোক্তা হিসেবে সম্মানিত করল। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া। আমাকে ও আমার ব্যবসাকে সামনে এগিয়ে নিতে, আরো উদ্যমী হতে অনুপ্রাণিত করবে এ পুরস্কার।
উদ্যোক্তা সম্মাননা অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এমএ তসলিম, অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, ম. ইনামুল হক ও মোনায়েম সরকার।
অতিথির আসনে আরো ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত, পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরফাত, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর আহমেদ, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শহীদুল ইসলাম, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী, সীমান্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুখলেসুর রহমান, পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এহসান খসরু, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা জালাল উদ্দিন আহমেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তরিকুল ইসলাম চৌধুরী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তফা খায়ের, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া, জিল্লুর রহমান পাটোয়ারী, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু নাসের চৌধুরী।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, শেলটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. তৌফিক এম সেরাজ, আইবিএফবির প্রেসিডেন্ট ও এনার্জিপ্যাক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশিদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক শাহ মনজুরুল হকও উদ্যোক্তা সম্মাননা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুত্ফর রহমান, রাশেদুর রহমান, বেসরকারি শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, বিডি ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত হোসেন, অধ্যাপক তোফাজ্জেল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক, ফরিদ আহমেদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. হোসাইন ইমাম, বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কমিশনার (স্পেকট্রাম ম্যানেজমেন্ট) আমিনুল হাসান, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের চিফ রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, রবির হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট (মিডিয়া, কমিউনিকেশনস অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি) ইকরাম কবীর ও সহজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা মেহের কাদির।
আইসিএবির প্রেসিডেন্ট এএফ নেছারউদ্দিন, এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন) কালিপদ হালদার, সদস্য (করনীতি) কানন কুমার রায়, সদস্য (মূসক নীতি) আব্দুল মান্নান শিকদার, কমিশনার (এলটিইউ) মো. মুুবিনুল করীম, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অজিত কুমার পাল, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ রেলওয়ের অর্থনীতিবিদ এসএম সলিমউল্লাহ বাহার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান, পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পরিচালক মো. ছায়েদুর রহমান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন চৌধুরী, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট মো. শাকিল রিজভী, সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশীদ লালী, ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও, পরিচালক মোহাম্মদ আলী, বিএমবিএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ মো. রিয়াদ মতিন, সদস্য মাহবুব এইচ মজুমদার, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, বিআইএফএফএলের সিইও এসএম ফরমানুল ইসলাম, এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্টসের চেয়ারম্যান মিনহাজ জিয়া, ব্রামার্স অ্যান্ড পার্টনার্স বাংলাদেশের পার্টনার খালিদ কাদির ও অ্যাডভাইজর মুয়াল্লেম এ চৌধুরী, ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, পেনিনসুলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক সৈয়দ আহমদ রাসুল, এজ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের পার্টনার আসিফ খান, সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশের সেক্রেটারি নাজমুল করিম, আইডিআরএর সাবেক সদস্য সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা, আইসিএসবির ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী শামিবুর রহমান, এইচএফ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. ফায়েকুজ্জামান, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের সিইও খন্দকার শাফাত রেজা, ইসলামিক ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের এমডি আবু জাফর মো. সালেহ, ট্রিপল এ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান, ওমেরা ফুয়েলস লিমিটেডের সিইও আখতার হোসেন সান্নামাত, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মহিউস সামাদ চৌধুরী, ভ্যানগার্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ডেপুটি সিইও রিফাত উর রহমান জোয়ার্দার এবং পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহসান।
এবারের উদ্যোক্তা সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্লাটিনাম স্পন্সর ছিল রবি। এতে আরো সহযোগিতা করেছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, আরএসআরএম, জাফলং টি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, বিকাশ, সামিট করপোরেশন লিমিটেড, এক্সিম ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, সিডিবিএল, এসিআই পিওর সল্ট, স্বপ্ন, এনসিসি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড ও সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড।
আরকে//