বৈশাখের রঙে সেজেছে চেরী ব্লোসমস স্কুল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৬ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৬:০৭ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার
কবিগুরুর কালজয়ী গান ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিল রাজধানীর মিরপুর চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার পল্লবী ২নং কমিউনিটি সেন্টারে সকাল সাড়ে আটটায় বাংলা নতুন বছরকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয় স্কুলটির শত শত শিক্ষার্থী। এ উপলক্ষে একটি বৈশাখী র্যালি পল্লবীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ট্রেজারার প্রফেসর ডা.আবু ইউসুফ ফকির। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিসিআইসি’র পরিচালক আলতাব উদ্দিন শেখ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বায়েস খান, মুক্তিযোদ্ধা হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যান ড. সালেহা কাদের।
অনুষ্ঠানে গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের গান হাসন, লালন, বৈশাখের গান,বৃষ্টি বন্দনার গান, গ্রুফ ড্যান্স, দ্বৈত সংগীত, জারি-সারি, ভাটিয়ারী, লোকজ গানের পরিবেশনা করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সংগীতের মূর্ছনাতে আলোকিত হয়ে ওঠে বর্ষবরণের বর্ণিল এই আয়োজন।
স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে টানা ২৪ বছর ধরে উদযাপিত হচ্ছে নববর্ষের এই আয়োজন। অতীতের সকল জড়া-জীর্ণতাকে বিদায় জানালো চেরী ব্লোসমস স্কুলের কচি কাঁচার শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ডা.আবু ইউসুফ ফকির বলেন,`পহেলা বৈশাখ আমাদের আত্ম পরিচয়ের দিন। এইদিনের তাৎপর্য লালন করেই তোমাদের শুদ্ধ মানুষ হতে হবে। এদিনকে নতুন প্রজন্মের কাছে আরও পৌঁছে দিতে এই স্কুলটি অত্যন্ত ভূমিকা রাখছে। আমি আশা করবো আগামিতেও এরকম কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে এই কামনা করছি।
চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ড. সালেহা কাদের বলেন,পহেলা বৈশাখ বাঙালির ঐতিহ্যগত উৎসব। স্কুলটি ইংলিশ ভার্সনে পরিচালিত হলেও আমরা আমাদের সন্তানদেরকে ইংরেজ বানাতে চাই না। অস্তিত্বের শেখরের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে বৈশাখের উৎসবের আয়োজন করি প্রতি বছর।
তিনি আরও জানান, শহুরে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের শিশুরা গ্রামের চিরায়ত সংস্কৃতির পরিচয় থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। তাই তাঁদেরকে গ্রামের লোকজ সংস্কৃতি ও চিরায়ত সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই আয়োজন।
চেরী ব্লোসমস স্কুলের ভাইস প্রিঞ্চিপাল আফসানা আমিন মোনালিসা বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ দিনটি আমাদের কাছে ভিন্নতা পাই, কারণ বৈশাখী আয়োজন মানেই আপন আলয়ে ফেরার দিন। আমাদের স্বকীয়তা বোধের দিন। তাই শিক্ষার্থী,অভিভাবকদের সঙ্গে আমরা একই সঙ্গে বর্ষবরণের সুবর্ণ সুযোগ পাই’।
বর্ষবরণ নিয়ে চেরি ব্লুসমস স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড টুইয়ের শিক্ষার্থী আমরোজিয়া আফসিন পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে বলেন,প্রতি বছর এই দিনে এখানে আসতে আমাদের ভালো লাগে। আমরা পারফর্ম করতে পারি। এবছরও আরো ভালো লেগেছে।
অনুষ্ঠানে মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন স্টল অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে আগত অভিভাবকরা বর্ষবরণের এই আয়োজনে স্বস্তি প্রকাশ করেন।
কেআই/