সপ্তাহ শেষে বড় উত্থানে পুঁজিবাজার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৬ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার
টানা চার কার্যদিবস বড় দরপতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনর সাক্ষাতের পরের দিনই শেয়ারবাজারে এমন বড় উত্থান হলো।
টানা দরপতনের প্রেক্ষিতে এর আগে গত মঙ্গলবর দফায় দফায় বৈঠকে বসে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। বৈঠকের মাধ্যমে দরপতন ও তারল্য সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিএসইসির কাছে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। বিএসইসি ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক প্রতিনিধিদের কিছু দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপরও দরপতনের মধ্যেই আবদ্ধ থাকে শেয়ারবাজার। আগের তিন কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় বুধবারও বড় দরপতন হয়।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান। এ সময় শেয়ারবাজারের বর্তমান মন্দাবস্থা দূর করতে করণীয় পদক্ষেপ নিতে বিএসইসি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে বাজারের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে অর্থমন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংককে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতেই বাজারে ছড়িয়ে পড়ে এ তথ্য। যার ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায় সার্বিক বাজারে। লেনদেনের শুরু থেকেই বাড়তে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। ফলে বড় উত্থান হয় সবকটি মূল্য সূচকের। সে সঙ্গ বাড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির দাম।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৬৪ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৩২৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯০২ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মূল্য সূচকের উত্থানের দিনে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে লেনদেনের পরিমাণ তিনশ কোটি টাকার ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিকের। কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরপরেই রয়েছে ফরচুন সুজ। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার। ১৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে এর পরেই রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।
লেনদেনে এরপর রয়েছে-বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, এস্কয়ার নিটিং, গ্রামীণফোন, রেকিট বেনকিজার, রূপালী লাইফ, ইষ্টার্ন কেবলস এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে ৯ হাজার ৮৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৫টির দাম বেড়েছে। কমেছে ৪৮টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দাম।
আরকে//