পাহাড়ে তিনদিনের বৈসাবি উৎসব শুরু আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৪২ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০১:১৯ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান তিনটি পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি। প্রতিবছর চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষবরণ উপলক্ষে ত্রিপুরারা ‘বৈসুক’ মারমারা ‘সাংগ্রাই’ এবং চাকমারা ‘বিজু’ নামে এ উৎসব পালন করে। এ তিন ভাষার আদ্যাক্ষর নিয়ে এ উৎসবকে বলা হয় বৈসাবি।
পাহাড়ে ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে বৈসাবির খুশি। আজ শুক্রবার থেকে তিন দিনের বৈসাবি (বৈসুক, সাংগ্রাই ও বিজু) উৎসব হয়েছে। ভোরে পানিতে ফুল ভাসিয়ে শুরু হয় উৎসব। বৈসাবি উপলক্ষে রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় পালিত হচ্ছে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি।
রাঙ্গামাটি: শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায় তিন দিনব্যাপী বৈসাবি উৎসবের শুভ সূচনা করেছে।
আগামী ১৫ এপ্রিল শুরু হবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জলকেলি উৎসব। ওইদিন জেলার কাপ্তাই উপজেলার রাইখালীর নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সর্বজনীন জলোৎসবের আয়োজন করেছে মারমা সম্প্রদায়ের সংগঠন মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থা (মাসাস)।
খাগড়াছড়ি: গঙ্গাদেবীর উদ্দ্যেশ্যে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে শুক্রবার ফুলবিঝুর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বৈসাবি উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
এ দিন ভোরের আলো ফুটতেই ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে দলবেঁধে ছুটছেন চাকমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ। বর্ণিল সাজে মায়ের হাত ধরে ফুল হাতে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসছে শিশুরাও। সকলের গন্তব্য চেঙ্গী, মাইনী আর ফেনী নদী। সেখানেই মঙ্গল কামনায় গঙ্গা দেবীর উদ্দ্যেশ্যে নদীতে ফুল ভাসানো শুরু হয়। পিছিয়ে ছিল না অন্যান্য সম্প্রদায়ের দর্শনার্থীরাও। তারাও এসেছিল বন্ধুদের সঙ্গে ফুলবিঝু উপভোগ করতে।
নতুন বছরকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। সকালে এর উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এ সময় তিনি বলেন, বৈসাবি উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বসবাসরত মানুষের মাঝে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।
বান্দরবান: আর একদিন পরই আগামীকাল শনিবার শুরু হচ্ছে পাহাড়ি মারমাদের বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রাই বা বৈসাবি। উৎসবকে ঘিরে পোশাক কেনা-কাটা ও ঘরবাড়ি গোছানোসহ বান্দরবানের মারমাদের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। চারিদিকে এখন সাজ সাজ রব। পুরো পার্বত্য বান্দরবানে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
একে//