ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

চেলসি সমর্থকদের আক্রমণ ক্লপের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৮ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ধুন্ধুমার লড়াই হবে রোববার। ৩৩ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা লিভারপুল ঘরের মাঠে নামছে চেলসির বিরুদ্ধে। আর এক ম্যাচ কম খেলে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ ক্রিস্টাল প্যালেস। ম্যাচের আগে দুই শিবিরেই উদ্বেগ বাড়ছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বে সালভিয়া প্রাগকে ১-০ হারিয়ে উজ্জীবিত চেলসি। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন মার্কো আলোন্সো। কিন্তু লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ চেলসির সমর্থকেরা! প্রাগে সালভিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীন গ্যালারিতে কয়েকজন সমর্থক সারাক্ষণ লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহকে বিদ্রুপ করে গান করেন। গানের কথা ছিল ‘সালাহ বোমারু’। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। চেলসি কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে তিনজনকে চিহ্নিত করে তাদের স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ স্টেডিয়ামে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তাতেও ক্ষোভ কমেনি ক্লপের। তিনি বলেছেন, ‘অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের স্টেডিয়ামে ঢুকতেই দেওয়া উচিত নয়। ফুটবল এমন একটা মঞ্চ, যেখানে সবাই একসঙ্গে কাজ করে। কে কোথা থেকে এসেছে। তার বংশপরিচয় কী, তা নিয়ে কেউ ভাবে না।’

ম্যানসিটি কোচ পেপ গর্দিওলার অস্বস্তি বাড়াচ্ছে অন্দরমহলের অশান্তি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিরুদ্ধে হারের পরেই মিডফিল্ডার ইলখাই গুন্দোয়ান সমালোচনা করেছেন গার্দিওলার রণনীতির। তিনি বলেছিলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো প্রতিযোগিতায় ম্যানসিটি কখনওই বড় দল নয়। টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে আমরা যেন ভয়ে ভয়ে খেলছিলাম।’ এখানেই শেষ নয়। গুন্দোয়ানের তোপ, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সব সময় চাপে পড়ে যাই।’

৩৩ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে বারো নম্বরে থাকা ক্রিস্টাল প্যালেসের মুখোমুখি হওয়ার আগে গুন্দোয়ানের সমালোচনার জবাব দিলেন গার্দিওলা। তিনি বলেছেন, ‘আমি ওর সঙ্গে একেবারেই একমত নই। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচটা আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। টটেনহ্যাম কিন্তু অনেক ভাল দল শালকের চেয়ে।’

গার্দিওলার বিরুদ্ধে তোপ দেখেছেন স্যামুয়েল এটো-ও। ম্যানসিটি কোচ সব সময়ই বলেন, বার্সেলোনায় তার সাফল্যের নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন লিওনেল মেসি। ক্ষুব্ধ এটো বলেছেন, ‘বার্সেলোনার সাফল্যের কান্ডারি মেসি নয়, আমি ছিলাম। এ রকম মন্তব্য করার জন্য গার্দিওলাকে আমার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’ ২০০৮-’০৯ মৌসুমে গার্দিওলার কোচিংয়েই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল বার্সেলোনা। ফাইনালে গোল করেছিলেন মেসি ও এটো।

প্রাক্তন ছাত্রের সমালোচনার জবাব দেননি ম্যানসিটি কোচ। তার ভাবনায় শুধুই ক্রিস্টাল প্যালেস। দলকে জেতাতে প্রথম একাদশে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন গার্দিওলা।

একে//