পান্তা খান কোষ্ঠকাঠিন্য মুক্ত থাকুন
নূর ই জান্নাত ফাতেমা :
প্রকাশিত : ১২:০৮ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১২:২১ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার
বাঙ্গালী জাতীয় জীবনে অন্যতম উৎসব ১ বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত। বৈশাখের উৎসবকে প্রাণ দিতে খাদ্য তালিকায় থাকে ব্যাপক প্রস্তুতি। মূলত বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে ধারন করে এমন স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য স্থান পায় এ তালিকায়। নববর্ষের খাদ্য তালিকার প্রধান জায়গা জুড়ে আছে পান্তা ভাত।
প্রিয় পাঠক, আপনি জেনে আশ্চর্য্য হবেন যে পান্তা শুধু বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথেই জড়িত নয়, বরং এর রয়েছে বহুমুখী উপকারিতা। আজ আমরা সেসকল উপকারিতা নিয়ে আলাপ করব।
গবেষণায় দেখা যায় যে, আগের দিন রান্না করা, রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখা ভাতের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন বি-১২। এ ভাতের মধ্যে রয়েছে অনেক উপকারি ব্যাকটেরিয়া যা খাদ্য হজম করতে সহায়তা করে এবং বহু রোগ প্রতিরোধ করে। এ ভাতে রয়েছে হাড় ও পেশি শক্তি বৃদ্ধির উপাদান এবং বার্ধক্য প্রতিরোধ ক্ষমতা। পটাসিয়াম ও আয়রন গরম ভাতের চেয়ে অনেক বেশি।
এক নজরে এর গুনাগুন গুলি দেখে নেই-
১. পান্তা ভাত খেলে শরীর হালকা থাকে এবং কাজে বেশি শক্তি পাওয়া যায়।
২. মানব দেহের জন্য উপকারি বহু ব্যাকটেরিয়া পান্তা ভাতের মধ্যে বেড়ে যায়।
৩. পেটের পীড়া ভাল হয় এবং শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে।
৪. কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয় এবং শরীরে সজিবতা বিরাজ করে।
৫. রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
৬. অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সবল হয় এবং মেজাজ ভাল থাকে।
৭. এলার্জি জনিত সমস্যা প্রশমিত হয় এবং ত্বক ভাল থাকে।
৮. সব রকম আলসার দূরীভূত হয়।
৯. শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
১০. মন মেজাজ ভাল রাখে।
তবে পানতা ভাতের সাথে অল্প ঝাল দিয়ে যে কোন ভরতা খেতে পারেন। আসুন, আমরা নববর্ষকে পরিপূর্ণতা দেই পান্তা গ্রহণের মাধ্যমে।
(লেখক : ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশিয়ানিস্ট, প্রাভা হেলথ)
আআ/এসএ/