ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

নুসরাত হত্যার বিচারের দাবিতে কবি নজরুল কলেজে বিক্ষোভ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৫:০৬ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

ফেনী সোনাগাজীর মাদ্রাসাশিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুরে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত কলেজ ক্যাম্পাসের সামনেই এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে নুসরাতের গায়ে আগুন লাগিয়ে যারা তাকে হত্যা করেছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, সাইকে আইনের আওয়তায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতির এই সভাপতি বলেন, নুসরাতরে মতো যেন আর কারো মা-বাবার বুক খালি না হয় সেই জন্য সবাইকে সোচ্চার হওয়ার ও আহবান জানান তিনি।এরপর কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে প্রায় এক ঘন্টা বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নুসরাতের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

উল্লেখ্য, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিল। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা এর আগে তাকে যৌন নিপীড়ন করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে আটক করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যায় নুসরাত। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয়। তাকে মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলে ভয় দেখানো হয়।

পরে সেখানে বোরকা পরিহিত ৪ ব্যক্তি নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

পরে দগ্ধ নুসরাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ঢামেকের ডাক্তাররা জানান, নাজুক শারীরিক অবস্থার কারণে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া সম্ভব নয়। বুধবার রাতে অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে নুসরাত মারা যায়। গত রোববার নুসরাত চিকিৎসকদের কাছে দেওয়া শেষ জবানবন্দিতে বলেছিলেন, নেকাব, বোরকা ও হাতমোজা পরা চারজন তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই চারজনের একজনের নাম শম্পা।


টিআর/