ভুটানের মানুষ কেন সবেচেয়ে সুখী?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৪৬ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১২:৪৭ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার
এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব এবং চায়নার দক্ষিণ দিকে ভুটান অবস্থিত। এই দেশটি সবচাইতে সুখী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তারা কিভাবে এতো সুখী থাকে? আসুন জেনে নেওয়া যাক তাদের সুখে থাকার আসল রহস্য সম্পর্কে-
আধ্যাত্মিক সুখ
পশ্চিমা বিশ্বের সকলে বস্তুগত সুখ উপভোগ নিয়েই বেশী চিন্তিত। আমরা সকলে অত্যান্ত সুখী হই, যখন আমাদের কাছে আইফোন বা অন্যান্য নতুন ডিভাইস থাকে। এটা কোন ভালো চিন্তাভাবনা নয়। কারন, এর ফলে পরবর্তীতে যখন আপনার কোন কিছু ক্রয় করার সামর্থ্য থাকবেনা, তখন আপনি বিষণ্ণতায় ভুগবেন। কিন্তু ভুটানের জনগনের উপর শুধু বিশ্ব উন্নয়নের প্রভাব পরে। তাদের কাছে নতুন প্রযুক্তির ডিভাইস কোন ব্যাপার না। তারা জীবনে বেঁচে থাকার মধ্যেই সকল সার্থকতা খুঁজে পায়।
অধিক বনভূমি
পরিবেশ হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, ভুটানের মানুষদের জন্য। তাই, তাদের অর্ধেক রাষ্ট্রই জাতীয় পার্কের অন্তর্ভুক্ত। বন-জঙ্গল, প্রাণী ও উদ্ভিদকুলকে কঠোরভাবে সুরক্ষা দেয়া হয়। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, দেশের ৬০% যায়গা জুড়ে কোন গাছপালা কাটা যাবে না। দেশের জন্য ভালবাসা মানুষকে সব থেকে বেশী সুখী রাখে।
কম দূষণ
পরিবেশগত সচেতনতার কারনে ভুটানের জনগন অন্যান্য দেশের তুলনায় কম দূষণ করেন। তারা অনেক দূরে দূরে কারখানা স্থাপন করেন। যার ফলে মাটি, বাতাস ও পানি অনেক বেশী পরিষ্কার থাকে। তারা দূষণমুক্ত রাখার জন্য সব ধরনের চেষ্টা অবলম্বন করেন। যার ফলে তারা মন থেকে খুশি থাকতে পারেন।
বিশ্বের সকলে যেখানে নিজেদের পৃথিবীর সামনে আরও বেশী উন্মুক্ত করতে চান, সেখানে ভুটান নিজেদের মত করে বাঁচতে চায়। তারা তাদের পুরান নীতিকথা অনুযায়ী চলতে চান। তাদের কাছ থেকে বিশ্বের অনেক কিছু শিখার রয়েছে।
শিক্ষার হার বৃদ্ধি
ভুটানে শিক্ষার হার কম হলেও তা দ্রুত বাড়ছে। ১৯৮৮ সালে তাদের শিক্ষার হার ছিল মাত্র ২৫ শতাংশ। তবে ২০১৭ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ৯৫ শতাংশ ভুটানি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া শেষ করেছে ৭০ শতাংশ ভুটানি। দেশটিতে শিক্ষা বাধ্যতামূলক নয়।
এমএইচ/