ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ৩১ অক্টোবর ২০২৪,   কার্তিক ১৫ ১৪৩১

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মেয়ের জন্মদিনে আবেগাপ্লুত সেলিনা হোসেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৩ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার

বৈমানিক লারা। ১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিমান দুর্ঘটনায় ঢাকার অদূরে পোস্তগোলায় নিহত হন তিনি। যিনি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের কন্যা। পুরো নাম ফারিয়া লারা। গতকাল ছিল তার ৪৮তম জন্মদিন। বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো কন্যা ফারিয়া লারার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বারবার আপ্লুত হয়ে পড়লেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

প্রয়াত বৈমানিক কন্যার শৈশবের নানা স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে সেলিনা হোসেন বলেন, ‘মাত্র ২৮ বছর জীবন পেয়েছিল তার মেয়ে। বেদনার সাগরে ভাসিয়ে বড় অসময়েই সে চলে গেছে। লারা তার বুকের ভেতর জিইয়ে রেখেছিল সহায়-সম্বলহীন মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর বাসনা। লারা স্বপ্ন দেখত, স্বপ্ন দেখাত মানুষকে। লারার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য তার নামে গড়ে তোলা ফাউন্ডেশন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করছে।’

গতকাল মঙ্গলবার লারার ৪৮তম জন্মদিনে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় প্রতিষ্ঠিত লারা ফাউন্ডেশন চত্বরে মা ও শিশুকে স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে সচেতন করা সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন সেলিনা হোসেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘লারার স্বপ্ন ছিল খোলা আকাশে পাখির মতো ভেসে বেড়ানোর। সেই স্বপ্ন পূরণও হয়েছিল। তবে বেশিদিন টেকেনি। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নই কাল হয় তার।’

অনুষ্ঠানে লারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘ফারিয়া লারা বেঁচে আছে শৈশবে দেখা তার স্বপ্নময়তার ভেতরে। গত ২০ বছরে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষকে সেবা দিয়েছে এ ফাউন্ডেশন।’

ফাউন্ডেশনের সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, কথাশিল্পী ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল, কবি কাজী রোজী।

লারার ৪৮তম জন্মদিনে অনুষ্ঠানের মঞ্চে একটি কেক কাটেন অতিথিরা। পরে গাজীপুর সদরের ভবানীপুর এলাকায় হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত পাঁচ বছর বয়সী মুগ্ধ বর্মণকে চিকিৎসার জন্য লারা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।

এসএ/