ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি
ইবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৬:৪০ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৬:৪৩ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার
সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টায় ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধর্ষকরা পুরুষ জাতির লজ্জা, তাদের কোন জাত-পাত নেই। ধর্ষকরা সহজেই রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। ধর্ষকদের রাজনৈতিক আশ্রয়- প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করুন। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের আলোকিত অংশ। এখান থেকে দেশের উচ্চশিক্ষিত ও মেধাবী মানুষগুলো বের হয়। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আজ যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এসব ঘটনার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। দ্রুত এসব ঘটনার সঠিক বিচার করা করুন একই সাথে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান বক্তারা।
এসময় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে নিরাপদ স্বদেশ আমার অধিকার মুজিবনগর দিবসের অঙ্গিকার, নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাই, চবি-নোবিপ্রবি নেক্সট?,বাসে চবি রাস্তায় নোবিপ্রবি পরে কোথায় কিভাবে?, ধর্ষকের জাত নাই আমরা তার ফাঁসি চাই, মা-বোনদের জন্য নিরাপদ দেশ আমার অধিকার, নীতি বাক্যের দিন শেষ রুখে দাড়াও বাংলাদেশ, ধর্ষকরা দেশ-জাতির কলঙ্ক তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করুন, মুজিবনগর দিবসে সবার নিরাপত্তা চাই ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।
শামিমুল ইসলাম সুমনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলা বিভাগের ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ, জি কে সাদিক, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের শাহজালাল সোহাগ, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের মোশাররফ হোসেন নীল, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের পিয়াস প্রমূখ।
জানা যায়, গত ১১ এপ্রিল বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীতে বাসে ধর্ষণের চেষ্টাকালে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে জীবন বাঁচান চবি অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালী সদর থানায় যৌন হয়রানি ও হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার একটি মামলা করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের একছাত্রী।
কেআই/