ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

`বন্ধন মৈত্রী’ ট্রেনে ১০০ টিকিট দেওয়ার দাবি

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৭:৫৭ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার

খুলনা-বেনাপোল-কোলকাতার মধ্যে সরাসরি চলাচলকারী ‘বন্ধন মৈত্রী’ ট্রেন সার্ভিসে বেনাপোল থেকে কোন টিকিট না দেওয়ায় ক্ষুদ্ধ এই রুটে যাতায়াতকারি যাত্রীরা। তাদের দাবি সারাদেশ থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী বেনাপোল হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে বনগাঁ রেলস্টেশনে ট্রেনে ওঠার প্রতিযোগিতায় নামতে হয়। তাই এই বিড়ম্বনা থেকে রাহাই পেতে ভারতে যাওয়া-আসায় খুলনা-বেনাপোল-কোলকাতা ‘বন্ধন মৈত্রী’ ট্রেন সার্ভিস চালু।

একই সঙ্গে বেনাপোল থেকে একশ‘ টিকিট দেওয়ার দাবিতে রেলমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি দিয়েছেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেস্টস এসোসিয়েশন।

সম্প্রতি, রেল মন্ত্রণালয়ে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বেনাপোল স্থলবন্দর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর। ভারতের সঙ্গে অসম বাণিজ্যে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর দেশের সিংহভাগ শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্টস ইন্ডাষ্ট্রির মালামাল আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে।

ইতিমধ্যে এ বন্দরটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। তাছাড়া চার দেশীয় ট্রানজিট করিডোর এই বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর। নানান সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে স্থানীয়রা প্রতিদিন ট্রেন সাভিসটি চালু রেখে একশ’ টিকিট বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, ভারতের কোলকাতা থেকে বেনাপোল অত্যন্ত কাছাকাছি হওয়ায় কম সময়ে এই বন্দর দিয়ে মালামাল আমদানি করা সম্ভব। প্রতিদিন এই রুটে প্রায় সাত থেকে আট হাজার পাসপোর্টযাত্রী ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করে থাকে। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির কথা চিন্তা করে কোলকাতা-বেনাপোল-খুলনা রুটে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করা হয়েছে।

আন্ত:দেশীয় ঐতিহাসিক ট্রানজিট চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। অথচ বেনাপোল থেকে যখন কোলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয় তখন দেখা যায় অনেকটা ফাঁকা নিয়েই ট্রেনটি চলছে। যাতে করে দিনের পর দিন যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে সরকার যে কোন সময় লোকসান দেখিয়ে সার্ভিসটি বন্ধ করে দিতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টেস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নানান কাজে ভারতে যাতায়াত করেন। কিন্তু খুলনা-বেনাপোল-কোলকাতা ‘বন্ধন মৈত্রী’ ট্রেন সার্ভিসে বেনাপোল-কোলকাতার কোনো টিকিট বিক্রি করা হয় না। অথচ প্রতিদিন ট্রেন সার্ভিসটি চালু রেখে একশ‘ করে টিকিট দিলে মানুষ সহজেই চলাচল করতে পারতো। তিনি বলেন, সম্প্রতি এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দাবি রেখে রেলমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

কেআই/