ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পর্যটন শিল্পের বিকাশে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৪ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, আমি আশা করি পর্যটন শিল্প জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে ভূমিকা রাখবে। এ জন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ।

বৃহস্পতিবার নবম বাংলাদেশ ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এ ফেয়ারের আয়োজন করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি আশা করি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনসহ সরকারি-বেসরকারি সকল সংস্থা একত্রে কাজ করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরবে।

বিদেশি পর্যটকরা আমাদের অতিথি। তারা যাতে নির্বিঘ্নে এবং আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারে, আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়, তাও নিশ্চিত করতে বলেন রাষ্ট্রপতি।

আবদুল হামিদ বলেন, ভ্রমণ পিপাসু মানুষের নিত্য চাহিদার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীজুড়ে গড়ে উঠেছে হাজারও পর্যটন কেন্দ্র। বর্তমানে বিশ্বে পর্যটন এক বৃহৎ অর্থনৈতিক খাত হিসাবে বিবেচিত। মানুষে মানুষে সম্প্রীতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনেও এই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যে ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ সুবিধা প্রাপ্য দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করাসহ বাংলাদেশের মিশনগুলো সম্ভব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ই-ভিসা প্রদান করছে।

বাংলাদেশ ২০১৮-২০১৯ মেয়াদের জন্য দশম ইসলামিক কনফারেন্স অফ ট্যুরিজম মিনিস্টারস (আইসিটিএম)-এর চেয়ার নির্বাচিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরকে ২০১৯ সালের জন্য ‘দ্যা ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কর্মসূচি দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, পর্যটনের অপার সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যটন শিল্পের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে গঠন করা হয় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, যা আজ বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নের অগ্রপথিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতোই পর্যটন বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন।

মো. আব্দুল হামিদ বলেন, বিদেশী পর্যটক আগমন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অন এরাইভল ভিসা প্রাপ্য দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করাসহ মিশনগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে ই-ভিসা প্রদান করছে।” ঢাকা শহরকে ২০১৯ সালের জন্য “ঢাকা দি ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম” ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশী পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে আগ্রহী করে তুলতে এ ধরণের মেলা ইতিবাচক অবদান রাখবে। এছাড়া উন্নত হবে বন্ধুরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক, বিকশিত হবে পর্যটন শিল্প এবং সমৃদ্ধ হবে জাতীয় অর্থনীতি।

মেলায় বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ অংশ নিয়েছে। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- নেপাল, ভুটান, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিলিপাইন ও মালদ্বীপ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টোয়াবের সভাপতি তৌফিক উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এতে বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতিকুল হক, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস ও টোয়াব পরিচালক (ট্রেড এন্ড ফেয়ার) মো. তাসলিম আমিন শোভন প্রমুখ।

মেলায় ১৬০টি স্টল ও ১৫টি প্যাভেলিয়ন স্থাপন করা হয়েছে। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
পরে, রাষ্ট্রপতি হামিদ মেলায় বিভিন্ন স্টল ও প্যাভেলিয়ন পরিদর্শন করেন।

আরকে//